‘একই সিনেমায় আমাকে কিশোরী ও বৃদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে’

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

সুনেরাহ বিনতে কামাল অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র 'ন ডরাই'। প্রথম সিনেমা দিয়েই দারুণ সাড়া ফেলেন তিনি। প্রথম সিনেমাতেই পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। নতুন করে সুনেরাহ নুহাশ হুমায়ুনের মশারি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাটি দেশের বাইরে পুরস্কৃত হয়েছে।

এছাড়াও, প্রথমবারের মতো সরকারি অনুদানের সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। খুব শিগগিরই শুরু করবেন নতুন সিনেমার শুটিং। নিজের সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারর সঙ্গে কথা বলেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

প্রথম সিনেমায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন...

বিষয়টি আমার জন্য ইতিবাচক। আমার বড় অর্জন। যে কোনো চলচ্চিত্র শিল্পীর জন্য এটি বড় প্রাপ্তি। আমি মনে করি এই সম্মান পাওয়ার পর দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে।

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?

হ্যাঁ। খ ম খুরশীদ পরিচালিত জয় বাংলার ধ্বনি নামে সরকারি অনুদানের সিনেমাতে অভিনয় করতে যাচ্ছি। সামনেই শুটিং শুরু হবে। এই সিনেমায় আমাকে দুইভাবে দেখা যাবে। একইসঙ্গে কিশোরী এবং বৃদ্ধার চরিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাতে প্রস্তাব পাওয়ার পর বাবা বলেছেন এই সিনেমাটি করো। এতে আমার উৎসাহ বেড়ে গেছে। এটার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই সিনেমায় আমি অভিনয় করব তারা চরিত্রে। সিনেমার গল্প ও চরিত্র দেখে কাজটি করতে রাজি হয়েছি।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

একই সিনেমায় কিশোরী ও বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় কতটা কঠিন হবে মনে করছেন?

অভিনয়ের জায়গা থেকে করতে পারব। তবে, কঠিন তো অবশ্যই। চ্যালেঞ্জিংও বটে। আমি আসলে চরিত্রটি নিজের ভেতরে লালন করে তারপর কাজটি করব ।এতে অভিনয় করা সহজ হবে। তা ছাড়া চর্চার কোনো বিকল্প নেই।

অভিনয়ের ইচ্ছেটা কখন থেকে?

ছোটবেলা থেকেই ছিল। ছোটবেলায় নাচ শিখতাম। আমি চেয়েছি অভিনেত্রী হব। সে পথেই এগোচ্ছি। এক ধরণের চরিত্র করতে চাই না। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। অবশ্যই বেছে বেছে সিনেমা করতে চাই।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

দেশীয় সিনেমায় কাদের অভিনয় দেখেন?

সবার সিনেমা দেখি। সবার অভিনয় দেখি। এককভাবে কারো নাম বলতে চাই না। সবার অভিনয়ই ভালো লাগে।

আপনার অভিনীত মশারী অস্ট্রেলিয়ায় সেরা শর্টফিল্মের পুরস্কার জিতেছে?

এ সময়ে মশারি পুরস্কার পাওয়ায় খুব আনন্দে আছি। আমি খুব খুশি, ভীষণ ভালো লাগছে।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago