নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা এখন অনেক উন্নতির দিকে: কুমার বিশ্বজিৎ

কুমার বিশ্বজিৎ ও তার ছেলে নিবিড় কুমার। ছবি: কোলাজ/সংগৃহীত
কুমার বিশ্বজিৎ ও তার ছেলে নিবিড় কুমার। ছবি: কোলাজ/সংগৃহীত

দেশের স্বনামখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের সন্তান কুমার নিবিড় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে কানাডার টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ১৫  মাস ধরেই সেখানে চিকিৎসা চলছে তার।

আজ বুধবার সকালে সন্তান নিবিড়কে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার বাবা। 

বাবা মায়ের সঙ্গে নিবিড়। ছবি: সংগৃহীত
বাবা মায়ের সঙ্গে নিবিড়। ছবি: সংগৃহীত

কুমার বিশ্বজিৎ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার সবকিছু এই সন্তানকে ঘিরে, আমার পুরো দুনিয়াটা থেমে আছে। এমন অবস্থায় একজন পিতা কেমন থাকতে পারে। আমার আশা, ভালোবাসা ভবিষ্যৎ, সবকিছু নিবিড়কে নিয়ে। একজন পিতা হিসেবে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা এখন অনেক উন্নতির দিকে। কেউ কিছু বললে সেটা বুঝতে পারে। তার দিকে তাকিয়ে থেকে সাড়া দেয়। বুঝতে পারে তাকে কিছু বলা হচ্ছে। দেরি আছে পুরোপুরি সুস্থ হতে। রিহ্যাবে নেওয়ার পর ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি এসব দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী কাজ এসব।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি ও নিবিড়ের মা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওর মা সন্তানের জন্য খুব কষ্ট করছেন। আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা সময়। আমাদের পরিচিত স্বজন অনেকেই  আছেন। তারাও দেখাশোনা করেন। ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে আশা করছি। দীর্ঘদিন হাসপাতালে শুয়ে থাকার কারণে শরীর অসাড় হয়ে আছে। একটু একটু করে ঠিক হবে। গত দুই মাস থেকে তাকে চেয়ারে বসানো হচ্ছে। চেয়ে থেকে আমাদের চিনতে চেষ্টা করে। ডাকলে তাকিয়ে থাকে মুখের দিকে।'

বাবা মায়ের সঙ্গে নিবিড়। ছবি: সংগৃহীত
বাবা মায়ের সঙ্গে নিবিড়। ছবি: সংগৃহীত

'তার তাকানো দেখে বুঝতে পারি হয়তো চিনতে পারছে', যোগ করেন তিনি। 

কুমার বিশ্বজিৎ গত ১৮ এপ্রিল তিন সপ্তাহের জন্য ঢাকায় এসেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবার কানাডায় ফিরে যাবেন। গত বছরের নভেম্বরে আরেকবার ঢাকায় এসেছেন। এবার এসে একটা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গানও গেয়েছেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

52m ago