অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে যদি বারবার জেলে যেতে হয়, গেলাম: পরীমনি

ছবি: পরীমনির ফেসবুক থেকে নেওয়া

টাঙ্গাইলে একটি শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার উপস্থিত থাকার কথা ছিল চিত্রনায়িকা পরীমনির। কিন্তু হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় কিছু সংগঠনের প্রতিরোধের কারণে সেটা স্থগিত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরীমনি।

এরপর উত্তরার বোটক্লাবে ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা ও হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ রোববার এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এসব বিষয় নিয়ে আজ বিকেলে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমনি।

দ্য ডেইলি স্টার: আপনার বিরুদ্ধে তো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে কী বলবেন?

পরীমনি: পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে হাজিরা দিতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছিও। শরীর অসুস্থ থাকলে কী করার আছে। আমি আদালতে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ঠিক থাকলে অবশ্যই আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়েও আদালতে যাওয়া আমি কোনোদিন বাদ দিইনি। আমি আইনিভাবে বিষয়টা মোকাবিলা করব। জামিনের জন্য আবেদন করবেন আমার আইনজীবী।

ডেইলি স্টার: গতরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টাঙ্গাইলে একটি অনুষ্ঠান স্থগিত করার পরে...

পরীমনি: এটা নিয়ে আমার ফেসবুক পেজেও প্রচারণা করেছি। কিন্তু হুট করেই যাওয়ার আগের দিন জানানো হয় স্থানীয়দের প্রবল প্রতিরোধের মুখে স্থগিত করা হয়েছে অনুষ্ঠানটি। খবরটি শুনে বেশ খারাপ লেগেছে, অসহায় লেগেছে। এমন কেন হবে? আমার দেশে আমি কেন নিরাপদে নিজের কাজটা করতে পারব না। আমার গায়ে লাগলে এমন কথায় কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। অন্যদের মতো চুপ করে থাকতে পারি না। যেকোনো অন্যায় নিয়ে আগেও কথা বলছি। এই অন্যায় নিয়ে কথা বলার কারণে যদি আমাকে বারবার জেলে যেতে হয়, আমি গেলাম। আমার আর কী করবে বলুন। কিছু হলেই জেলে পাঠাবে, এই তো। তাহলে তো দেশের কেউ কথাই বলতে পারবে না। 

ডেইলি স্টার: ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়?

পরীমনি: আমার এই ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে, এই ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হলে বিষয়টা বেদনার হবে। মানুষ কথা বলা ছাড়া কীভাবে থাকবে। যে চুপ থাকতে চায়, সে চুপ থাকুক। কিন্তু যে বলতে চায়, তাকে তো বলতে দিতে হবে। তবে এটি যেহেতু আদালতের বিষয়, আমিও আইনি প্রক্রিয়াতেই হাঁটব। বিষয়টি আমার আইনজীবীই দেখছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

7h ago