সেন্সর বোর্ড থাকা উচিত না: তানজিকা

তানজিকা আমিন। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

প্রায় দেড় মাস বিরতির পর শুটিংয়ে ফিরেছেন তানজিকা আমিন। নতুন একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের জন্য। এটি পরিচালনা করছেন নজরুল ইসলাম রাজু।

নতুন ধারাবাহিক প্রসঙ্গে তানজিকা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শহরের গল্প উঠে এসেছে এই নাটকে। আমার চরিত্রটি হচ্ছে এরকম—মেয়েটি দেশে থাকতে চায় না। একটু ভিন্নতা আছে।

'মাঝে কিছুদিন দেশে ছিলাম না। লন্ডনে ছিলাম। তারপর ফিরেছি। ফেরার পর দেশে বড় একটি পরিবর্তন হলো। এরপর শুটিংয়ে ফিরলাম। ভালোই লাগছে শুটিংয়ে ফিরতে পেরে।'

নতুন একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংও শুরু করবেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বলেন, সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। তবে, পরিচালক, গল্পের নাম, সব পরে জানাব।

ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

'অমীমাংসিত' নামে একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তানজিকার। এটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী। তিনি বলেন, 'গতবছর সিনেমাটির কাজ শেষ করেছি। সেন্সরে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আটকে দিয়েছিল।'

'সেন্সরে যাওয়ার পর এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে গেছে সিনেমাটি। এভাবে সময় পার করেছে। অথচ অনেক কষ্ট করে কাজটি করেছি আমরা। শেষ নাগাদ সেন্সর আটকেই দিয়েছিল।'

দেশে সবকিছু নতুনভাবে শুরু হয়েছে। এখন কি আবারও সেন্সরে যাবে 'অমীমাংসিত', জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই সেন্সরে যাবে। মুক্তিও পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

'অমীমাংসিত' সিনেমার গল্প নিয়ে তানজিকা বলেন, এটি সাংবাদিক দম্পতির গল্প। আমি নারী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রের নাম নীরু।

ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক আগে নাটকে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু অনেক বছর পর সিনেমায় নারী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করে ভালো লেগেছে। সাংবাদিকের চরিত্রটি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।

অমীমাংসিত সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তানজিকা বলেন, এই সিনেমায় অভিনয় করে নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। শরীরে অনেক দাগ ছিল। অনেক কষ্ট করে কাজ করেছি। শুটিং শেষ হওয়ার পরেও গল্প ও চরিত্র থেকে বের হতে পারছিলাম না। একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম।

'অমীমাংসিত' সিনেমা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এটি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির গল্প। আসলে কি তাই?, জবাবে তানজিকা বলেন, এটি বর্বরতার গল্প। আমাদের সমাজে অনেক বর্বরতার গল্প আছে। এটিও তেমন। এক সাংবাদিক দম্পতির গল্প। সেই সঙ্গে মন খারাপ করা গল্প। তবে, কারও বাস্তব জীবনের গল্প না।

ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

কেউ কেউ বলছেন সেন্সর বোর্ড চান না। বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী, তানজিকা বলেন, সেন্সর বোর্ড চাই না। সেন্সর বোর্ড থাকা উচিত না। একজন পরিচালকের কাজ সবকিছু তুলে ধরা। তিনি সব ধরনের গল্প পর্দায় নিয়ে আসবেন। সেখানে সেন্সর বোর্ড কেন আটকে রাখবে? আমাদের সিনেমা ছাড়াও 'শনিবার বিকেল'সহ যেসব সিনেমা তখন মুক্তি দেওয়া হয়নি, এখন দেওয়া হোক।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ বই পড়ে, সিনেমা দেখে অনেক কিছু জানতে পারে, শিখতে পারে। বর্বরতার গল্প যেমন আছে, ভালো গল্পও আছে। পরিচালকের হাত বেঁধে দিলে কাজ হবে না। ভালো কাজ আসবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Foreign adviser’s china tour: 10 extra years for repaying Chinese loans

Beijing has agreed in principle to extend the repayment period for Chinese loans and assured Dhaka it will look into the request to lower the interest rate to ease Bangladesh’s foreign debt repayment pressure.

6h ago