‘এবার মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে’

জয়া আহসান
জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

জয়া আহসান ভক্তদের জন্য নতুন খবর এসেছে। বাংলাদেশি এই অভিনেত্রী পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেও, ভারতীয় বাংলা সিনেমাতে বেশি অভিনয় করছেন তিনি। 

এর ধারাবাহিকতায় এবার নতুন খবর দিয়েছেন তিনি ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য।

ভারতীয় পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর নতুন বাংলা সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রী। 

বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন জয়া। শিগগির শুরু করবেন নতুন সিনেমার শুটিং।

টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে জয়া আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী দশ বছর পর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। সবশেষ তিনি "বুনোহাঁস" পরিচালনা করেছিলেন। তার পরিচালনায় হিন্দি সিনেমা "কড়ক সিং" এ কাজ করেছি। এবার বাংলা সিনেমায় কাজ করব।'

জয়া আহসান আরও বলেন, 'এখন প্রচণ্ড গরম। এর মধ্যেই শুটিং শুরু হবে। শুটিং শুরুর আগে চরিত্রটি নিয়ে প্রস্তুতির কাজ চলছে। স্ক্রিপ্ট পড়ছি, নিজেরা আলোচনা করছি, আশা করছি ভালো কিছু হবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে জয়া আহসান বলেন, 'পরিচালকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। কেননা, আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। আমাকে কাস্ট করেছেন। আনন্দের বিষয় হচ্ছে, দুর্দান্ত একটি টিম নিয়ে সিনেমাটি হতে যাচ্ছে।'

সহশিল্পীদের বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে আমি অভিনয় করতে যাচ্ছি। নর্থ থেকে একজন নামকরা শিল্পী অভিনয় করবেন। বিভিন্ন জায়গার শিল্পীরা থাকছেন।'

নতুন সিনেমার চরিত্রটি নিয়ে জয়া আহসান বলেন, 'মায়ের চরিত্রে দর্শকরা আমাকে দেখবেন। প্রথমবার এমন চরিত্র করছি। মা-সন্তানের গল্প। মা-সন্তানের সম্পর্কের গল্প। দর্শকরা একটি সুন্দর সম্পর্কের গল্প দেখবেন এই সিনেমায়।'

'ডিয়ার মা' নামের এই সিনেমায় কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করবেন। জয়া আহসানের স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে চন্দন রায় স্যানালকে।

'ডিয়ার মা' সিনেমায় অন্যতম প্রধান চরিত্র জয়া আহসানের। তিনি বলেন, 'ভালো গল্পের জন্য সবসময় অপেক্ষা করি। ভালো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করি। "ডিয়ার মা" তেমনই একটি কাজ হবে।'

জয়া আহসান অভিনীত কলকাতায় সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'ভূতপরী'। সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago