‘আজও ভুলিনি’ বইয়ে চেষ্টা করেছি আমার জীবনের কথাগুলো বলতে: সুচন্দা

সুচন্দা। ছবি: স্টার

৭০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা কোহিনূর আখতার সুচন্দা। জীবন থেকে নেওয়া সিনেমায় অভিনয় করে আজও উজ্জ্বল হয়ে আছেন সিনেমাপ্রেমীদের কাছে। আরও বহু সিনেমা তিনি করেছেন, যা ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সর্বোচ্চ পুরস্কার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন সোনালী দিনের সিনেমার এই নায়িকা। এবার তিনি নতুন পরিচয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন ভক্ত ও দর্শকদের কাছে। তার লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক বই প্রকাশ পেয়েছে অমর একুশে বই মেলায়।

বইটির নাম দিয়েছেন 'আজও ভুলিনি'। প্রকাশ করেছে অনন্যা। নিজের বই প্রকাশ হওয়ার পর তিনি এসেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলায়। অনন্যার স্টলে বসেছিলেন কয়েক ঘণ্টা। দিয়েছেন অটোগ্রাফ। পাঠক এসে সরাসরি কথাও বলেছেন তার সঙ্গে। আর ছবি তোলার বিষয়টি তো ছিলই।

অসংখ্য সুপারহিট সিনেমার নায়িকা সুচন্দার কাছে জানতে চাই, 'কত বছর পর বইমেলায় এলেন?' তিনি একটু ভাবতে বসেন। কিছুটা চিন্তা করেন। তারপর বলেন, 'হিসেব করে বলা মুশকিল। তবে বহু বছর পর বইমেলায় এসেছি।'

কেমন লাগছে বইমেলায় এসে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি চারপাশে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলেন, 'ভীষণ ভালো লাগছে। তবে ভিড় খুব বেশি। অনেক মানুষ আজ। তারপরও ভালো লাগছে। মানুষ বই কেনার জন্য এতটা ভিড় করছে এটা মুগ্ধ করছে আমাকে।'

লেখক হিসেবে বইমেলার অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'খারাপ লাগছে না। লেখক পরিচয়ে ভালোই লাগছে। আমি খুশি। আবার অটোগ্রাফ দিচ্ছি, মানুষ ছবি তুলছে। এইসবও ভালো লাগছে।'

'আজও ভুলিনি' আত্মজীবনী বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার চলচ্চিত্র জীবন, আমার অতীত, বর্তমান, যাদের সঙ্গে কাজ করেছি সবই উঠে এসেছে।'

'আজও ভুলিনি' নাম রাখার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, 'যাদের সঙ্গে দীর্ঘজীবন কাজ করেছি, কত কত স্মৃতি তাদের সঙ্গে, তাদেরকে তো ভুলতে পারিনি। ভুলিনিও। ভোলা সম্ভব না। সেজন্যই নাম দিয়েছি আজও ভুলিনি।'

তিনি আরও বলেন, 'এই বইয়ে আমার বাবার কথা, মার কথা, ফুপা-ফুপুর কথা, দাদা-দাদীর কথাও বলেছি। মামাবাড়ির স্মৃতিও আছে বইয়ে। এ ছাড়া ভাইবোনদের কথাও উঠে এসেছে। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের সান্নিধ্য পাওয়ার কথাও বলেছি। আমার শিক্ষকদের কথাও এসেছে। স্কুল-কলেজ জীবনের কথা বলেছি। আমার প্রথম সিনেমায় অভিনয়ের কথাও তুলে ধরেছি। নানা ঘটনা বলার চেষ্টা করেছি।'

তিনি বলেন, 'নতুন প্রজন্মের পাঠকরা অনেক কিছু জানতে পারবেন বইটি পড়ে। সব শ্রেণির পাঠকরাই জানতে পারবেন। চেষ্টা করেছি আমার জীবনের কথাগুলো বলতে।'

আজও ভুলিনি বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সুভাষ দত্তসহ আরও অনেক প্রয়াত পরিচালক, প্রযোজক, প্রদর্শক, কলাকুশলী,সাংবাদিকসহ চলচ্চিত্রের সবাইকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago