কলকাতার জার্নি স্মরণীয় হয়ে থাকবে: অপূর্ব

ছবি: স্টার

টেলিভিশন নাটক এবং ওয়েব সিরিজের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে আলাদা একটা ইমেজ রয়েছে তার। 'বড় ছেলে' নাটকে অভিনয় করে সব শ্রেণীর দর্শকের মন জয় করেছেন। 'বুকের মধ্যে আগুন' ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেও সাড়া জাগিয়েছেন।

এবারই প্রথম কলকাতার বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। টানা ১৭ দিন শুটিং শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি।

এসব নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন অপূর্ব।

প্রথমবার কলকাতার সিনেমায় অভিষেক হলো, জার্নিটা কতটা মনে রাখার মতো?

অপূর্ব: খুব সুন্দর একটা জার্নি হয়েছে। অবশ্যই মনে রাখার মতো। সেখানকার সবাই খুব সম্মান করেছেন। সবাই শতভাগ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। কলকাতার জার্নিটা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে মনে করি- কলকাতা জার্নিটা মনে থাকবে।

'চালচিত্র' সিনেমায় রাইমা সেনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, তাকে নিয়ে মন্তব্য কী?

অপূর্ব: এককভাবে নয়, সবার কথা বলতে পারি, অনেক ভালো ভালো শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করেছি। একেকজন শিল্পীর আন্তরিকতা ও ভালোবাসা ছিল অন্যরকম। যার যার দিক থেকে সবাই সহযোগিতা ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন। দারুণ সব স্মৃতি জমে আছে।

ভারতীয় প্রেসের সঙ্গেও তো প্রায় প্রতিদিনই কথা বলতে হয়েছে।

অপূর্ব: তা হয়েছে। সবাই খুব ভালোবাসা দেখিয়েছেন। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।

কলকাতার সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ কীভাবে পেলেন?

অপূর্ব: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনের মাধ্যমে। ওখান থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারপর কথা বলার পর একসময় গল্প নিয়ে বসা হয়। এরপর স্ক্রিপ্ট পড়ি। স্ক্রিপ্ট পড়ার পর ভালো লেগে যায়।

পরিচালকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

অপূর্ব: পরিচালকের কথা তো বলতেই হয়। তার নাম প্রতিম ডি গুপ্ত। খুব মেধাবী একজন পরিচালক। আরও বলতে হয়- টোটা রায় চৌধুরী, রাইমা সেন, শান্তনু মাহেশ্বরী, স্বস্তিকা দত্তসহ সব অভিনয়শিল্পীদের কথা।

এক-কথায় জানতে চাই, 'চালচিত্র' সিনেমায় অভিনয়ে কেন রাজি হলেন?

অপূর্ব: স্টোরি। 'চালচিত্র' সিনেমার স্টোরি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে। বাঙালি দর্শকরা গল্প বলা পছন্দ করেন। আমিও স্টোরির প্রেমে পড়েছি। তারপর চরিত্র তো আছেই। অসাধারণ একটি গল্প আছে 'চালচিত্র' সিনেমায়। থ্রিলার টাইপের গল্প।

কলকাতায় ১৭ দিন ছিলেন, কী কী খেয়েছেন?

অপূর্ব: ঢাকা ও কলকাতা তো প্রায় কাছাকাছিই। অনেক খাবারের মিল রয়েছে। তারপরও যদি বলি- তাহলে প্রথমেই উঠে আসে সেখানকার শিঙাড়ার কথা। দুধের সর দিয়ে এক ধরনের খাবার তৈরি হয়, সেটাও ভালো লেগেছে। চাপ মাটন ভালো লেগেছে। নর্থ কলকাতার একটি দোকানের বিরিয়ানিও ভালো লেগেছে।

সিনেমাটি নিয়ে কতটা আশাবাদী?

অপূর্ব: আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। সবকিছু সৃষ্টিকর্তা লিখে রেখেছেন। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আমি আমার কাজটা করে গেছি। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে।

বাংলাদেশ ছাড়াও অভিনয়গুণ দিয়ে কলকাতায়ও আপনি ভীষণ জনপ্রিয়। অভিনয় আপনার কাছে কী?

অপূর্ব: অভিনয় আমার কাছে ভালোবাসা। প্রচণ্ড ভালোবাসি অভিনয়। অভিনয় নিজের মধ্যে ধারণ করি। অভিনয় নিয়ে ভাবি। চরিত্র ও গল্প নিয়ে ভাবি।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

8h ago