মুখোমুখি ডাংকি-সালার: কেজিএফ নির্মাতাকে কি চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন শাহরুখ
বড়দিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বছরের বহুল প্রত্যাশিত ২ ভারতীয় সিনেমা 'ডাংকি' ও 'সালার'।
একদিকে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, আরেকদিকে বাহুবলী খ্যাত দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার প্রভাস। একদিকে বলিউড মাস্টারমাইন্ড পরিচালক রাজকুমার হিরানি আরেকদিকে ভারতীয় সিনেমায় মনস্টার ইউনিভার্সের প্রবর্তক প্রশান্ত নীল। সবমিলিয়ে বলিউডপ্রেমীদের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
ভিন্ন ধরনের প্রচারণার পরিকল্পনা রাজকুমার হিরানি-শাহরুখ খানের
রাজকুমার হিরানির সিনেমা মানেই বক্স অফিস হিট। তবে শুধু বক্স অফিসে সাফল্য নয়, বছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল শাহরুখের অন্য ২ সিনেমা পাঠান-জওয়ানকে ছাড়িয়ে যেতে প্রচারণায় আরও কৌশলী হয়েছেন ডাংকি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
২০০৩ থেকে ২০২৩—এই দুই দশকে মাত্র ৬টি সিনেমা বানিয়েছেন হিরানি। মুন্না ভাই এমবিবিএস, লাগে রাহো মুন্নাভাই, থ্রি ইডিয়টস, পিকে, সঞ্জু—সবক'টি সিনেমায় সাফল্য তার সঙ্গেই ছিল। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করেছেন তিনি। 'ডাংকি' হিরানি-শাহরুখের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, 'ডাংকি'র প্রচারণায় আন্তর্জাতিক বাজারকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় সিনেমা হিসেবে এটিকে আন্তর্জাতিক বাজারে উপস্থাপন করে বড়দিনের ছুটিতে দর্শকদের নজর কাড়বেন তারা। আগামী ২১ ডিসেম্বর সিনেমাটির বিশ্বব্যাপী প্রিমিয়ার হওয়ার কথা থাকলেও ভারতে মুক্তি পাবে তার ১ বা ২ দিন পর।
ডাংকিতে প্রথমবারের মতো শাহরুখের খানের বিপরীতে দেখা যাবে তাপসী পান্নুকে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র ও ভিকি কৌশল।
আশা জাগাচ্ছে 'সালার'
'বাহুবলী'-র মতো সিনেমার মাধ্যমে দর্শক ও সমালোচকদের নজর কাড়লেও গত কয়েক বছরে তেমনটা আলোচনায় আসতে পারেননি দক্ষিণী তারকা প্রভাস। 'সাহো', 'রাধে শ্যাম', 'আদিপুরুষ'- কোনোটাই বক্স অফিসে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
তবে 'কেজিএফ' খ্যাত পরিচালক প্রশান্ত নীলে ভরসা রাখছেন প্রভাস ভক্তরা। প্রভাস ছাড়াও এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, শ্রুতি হাসান, এবং মীনাক্ষী চৌধুরীসহ দক্ষিণের আরও তারকা অভিনয়শিল্পীরা।
সিনেমাটির টিজার প্রকশের পর এটি আরও পাকাপোক্ত যে, প্রভাস ভক্তরা একটা অন্যরকম সিনেমা পেতে যাচ্ছে। 'সালার'কে টেক্কা দেওয়া খুব একটা সহজ হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই 'সালার' এর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, গতকাল বুধবার থেকেই বড়দিনে 'ডাংকি'র মুক্তির বিষয়টি সামনে এলো। প্রশ্ন উঠছে, শাহরুখ খান কি ২০১৮ সালের শোধ তুলতে নির্মাতা প্রশান্ত নীলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন?
'ডাংকি' বনাম 'সালার' লড়াইয়ে ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি দেখাটা অস্বাভাবিক নয়। ২০১৮ সালের বড়দিনে শাহরুখ খানের 'জিরো' এবং প্রশান্ত নীলের 'কেজিএফ' একইভাবে লড়াই করেছিল। সেবার বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল 'জিরো'।
সম্প্রতি এক্স-এ (টুইটার) 'ডাংকি' নিয়ে পোস্টের পরপর 'জিরো' সিনেমার ব্যর্থতা নিয়েও ঠাট্টা করে একটি পোস্ট দিয়েছেন শাহরুখ। অনেকেই মনে করছেন, শোধ তুলতে নির্মাতা প্রশান্ত নীলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আবারও নিজের মুকুটের প্রমাণ দিতে চান বলিউড বাদশাহ।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একইদিনে মুক্তি দিয়ে দুটো সিনেমাই দর্শকদের বিভ্রান্ত করতে পারে, প্রত্যাশিত দর্শক হারাতে পারে। তাই সংশ্লিষ্টদের দুটো আলাদা তারিখ বেছে নেয়াই এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হতো।
Comments