জীবনকে আমি ইতিবাচকভাবে দেখি: জুয়েল আইচ

জুয়েল আইচ। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

বিশ্বনন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। গতকাল ১০ এপ্রিল ছিল তার জন্মদিন। বিশেষ দিনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন জুয়েল আইচ।

জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'জন্মদিন নিয়ে অসংখ্য স্মৃতি আছে। সুখের স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে। এ দিনে মানুষের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করে। সত্যি কথা বলতে আমি দিনটির কথা ভুলে যাই। কিন্তু, ফেসবুক মানুষকে মনে করিয়ে দেয়। প্রতিবারের মতো এবারও গতরাত থেকে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছি। এ দিনে মানুষের সুন্দর সুন্দর কথা আমার ভালো লাগে।'

'আমাদের ছেলেবেলায় জন্মদিনের কালচার ছিল না। এটা হয়েছে বড় হওয়ার পর এবং পরিচিতি আসার পর। এখন তো দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান। এটা অবশ্যই ভালো লাগে এবং মন ভালো করে দেয়। জীবনকে আমি খুব ইতিবাচকভাবে দেখি। জীবন অনেক সুন্দর এবং আনন্দময়। প্রতিটি দিন আসে আর ভাবি বেঁচে থাকা সত্যি সুন্দর এবং জীবন অনেক সুন্দর। প্রতিটি দিন আমি উপভোগ করি। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি।'

'জীবনে দুঃখ আসবে, আঘাত আসবে। তার মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে। দুঃখ বা আঘাত এসেই তো জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন, জীবন কর্মময়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা প্রয়োজন। তাহলে জীবন আরও সুন্দর হবে।'

'জন্মদিনে অনেক সারপ্রাইজ পেয়েছি। অনেক চমক ছিল। একটি ঘটনার কথা বলছি। একবার দক্ষিণ গিয়েছিলাম বেশ আগে। বিশেষ বিমান পাঠিয়ে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওখান যাওয়ার পর একটি হল ঘরে যাব। যখন রুমে ঢুকছি, একবাক্যে সবাই বলতে শুরু করে- হ্যাপি বার্থ ডে... আমি তো অবাক! আমি নিজেই ভুলে গিয়েছিলাম সেদিন জন্মদিনের কথা। তারপর রুমের ভেতরে যাওয়ার পর আরও চমক। বিশাল কেক রাখা সামনে রাখা। এই সারপ্রাইজের কথা কখনো ভুলতে পারব না,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'জন্মদিনে বস্তুগত কোনো উপহার আমাকে ততটা আকৃষ্ট করে না। আমাকে আকৃষ্ট করে মানুষের ভালোবাসা ও ভালো কোনো কথা। তারপরও কাছের মানুষ কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীরা কখনো কখনো অবশ্যই উপহার দেন। একবার গোল্ডের ঘড়ি উপহার পেয়েছিলাম। ওটার কত দাম আমি ভাবতেও পারিনি! একবার একজন অনেক দামি কলম উপহার দিয়েছিলেন। জন্মদিনে যেভাবে সবার ভালোবাসা পাচ্ছি, এভাবেই সবার ভালোবাসা নিয়ে আগামী দিনগুলো কাটাতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago