৫-৬ মাসে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসবে: গভর্নর

রিজার্ভ নিয়ে গভর্নর বলেন, আমাদের রিজার্ভের সংকট আছে। রিজার্ভ সংকট রাতারাতি যাবে না।
আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংক,
আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজারে তিনটা অ্যাঙ্গেলে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। একটি হলো সরবরাহ ব্যবস্থা। অর্থাৎ কীভাবে উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা সরবরাহ বাড়াতে পারি এবং তার মাধ্যমে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব আনা। দ্বিতীয়ত চাঁদাবাজির মতো কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে। তৃতীয়ত চাহিদার দিক নিয়ে কাজ করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই কাজটা করছে এবং আমরা আরেকটু পর্যালোচনা করে দেখব আরও কিছু করার আছে কি না।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি আছে, এটা অস্বীকার করে লাভ নেই। এজন্য আমরা যতটুকু আমদানি করতে পারতাম, ততটুকু পারছি না। সেটার একটা প্রভাব তো বাজারে থাকবেই।

তার ভাষ্য, এসব বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সবগুলো যখন ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসবে- বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমবে, চাঁদাবাজি কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে, যদি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়- তাহলে ধীরে ধীরে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবে। এটাই আমরা আশা করছি। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে, সময় দিতে হবে।

রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভের সংকট আছে। রিজার্ভ সংকট রাতারাতি যাবে না— আমাদের হিসাব করতে হবে বাজারে কতটুকু সরবরাহ দিতে পারি। তবে যেটুকু মিনিমাম তা রাখতে হবে, অযৌক্তিক লেভেলে কমিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলে বাজারে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেবে। সেটাকে রেখে আমদানিতে কোথায় কতটুকু ডলার দেওয়া যায়, তা দেখতে হবে।

এটা সংকীর্ণ পথ, তবে খুব সাবধানে হাঁটতে হবে। আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও আলাপ করব, বলেন তিনি।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অগ্রাধিকার হবে দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।


 

Comments