টানা ২ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে থাকবে, বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস

বিশ্বব্যাংক বলেছে, খেলাপি ঋণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রয়োজন।
জিডিপি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাংলাদেশের জিডিপি,
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক। ছবি: স্টার

করোনা মহামারির আগের দশকে বাংলাদেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এমন প্রেক্ষাপটে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বাংলাদেশ বিষয়ে বলছে, মূল্যস্ফীতি সামান্য কমায় মানুষের কেনাকাটা বেড়েছে। ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারে সরকারের বড় বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে সহায়তার প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি বেসরকারি কেনাকাটায় প্রভাব ফেলবে। জ্বালানি ও আমদানি উপকরণের ঘাটতির সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দেবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিষেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি কমবে।

বিনিময় হার ও আর্থিক কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়িত হওয়ায় মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধি ক্রমশ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংস্থাটির মতে, গত জানুয়ারির নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কমে এলেও দৃষ্টিভঙ্গিতে নেতিবাচক ঝুঁকি থেকে গেছে।

'মুদ্রা ও বিনিময় হার সংস্কারে অগ্রগতি পর্যাপ্ত না হওয়ায় রিজার্ভ আরও কমতে পারে এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।'

তারল্য সংকট ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে আছে রাজস্ব ঘাটতি, সম্ভাব্য আর্থিক দায় ও ঘাটতি নগদীকরণ।

'অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে (জিভিসি) অন্তর্ভুক্ত হতে এবং মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করতে দ্রুত কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে আছে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (আইপিআর) ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের কাঠামো জোরদার করা।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, খেলাপি ঋণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, বড় ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান পর্যালোচনা, খেলাপি ঋণ কমাতে আইনি কাঠামো, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর করপোরেট সুশাসন বাড়ানো ও দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশন ফ্রেমওয়ার্কের মতো বিধানগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি।

Comments