উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও ৩ বছর শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

উন্নয়নশীল দেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার পর বাংলাদেশ আরও তিন বছর শুল্ক সুবিধা পাবে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ আবুধাবিতে ডব্লিউটিওর ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীরা উন্নয়নশীল দেশের খ্যাতি অর্জনের পরও সেসব দেশের জন্য স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখতে রাজি হন।

গতকাল শুক্রবার শেষ হওয়া ডব্লিউটিও সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় বলা হয়—স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় রপ্তানি পণ্যের জন্য স্বল্প বা শূন্য শুল্ক সুবিধা ভোগ করবে।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ডব্লিউটিওর বিরোধ নিষ্পত্তি সমঝোতার ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের ঘোষণার দিন থেকে সেসব দেশ পরবর্তী তিন বছর এ সুবিধা পাবে।

এ ছাড়াও, সেসব দেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় তিন বছর পর্যন্ত কারিগরি সহায়তা পাবে।

ঘোষণায় আরও বলা হয়, এই পরিকল্পনার আওতায় বিদ্যমান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ডব্লিউটিওর কমিটিগুলো ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা ও জেনারেল কাউন্সিল অগ্রগতিবিষয়ক পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে প্রতিবেদন দেবে।

ডব্লিউটিওর প্রস্তাবিত ব্যবস্থার আওতায় সদ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব শুল্ক সুবিধা কার্যকর রাখা না গেলেও সেসব উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও পণ্যের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।

ডব্লিউটিও সদস্য দেশগুলো ই-কমার্সের ওপর আমদানি শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়াতে রাজি হয়েছে।

ডব্লিউটিও ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন সরকারি খাদ্য মজুদ, মৎস্য খাতে ভর্তুকির মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। যদিও আলোচনা আরও একদিন বাড়িয়ে ১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago