ভোজ্যতেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে পোল্ট্রি ফিড, দুগ্ধজাত পণ্য ও গবাদি পশুর খাদ্যের দামও কমতে পারে।
গত কয়েক মাস ধরে মূলত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সুতা, বস্ত্র এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের ৩৫২তম অধিবেশনে বাংলাদেশ এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
ব্যবসায়ীদের আশা, তৈরি পোশাকের কার্যাদেশের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে পারে।
তুরস্ক, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামসহ প্রায় সব প্রতিযোগী দেশ সব সময়ই ডেনিম বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন—প্রচলিত পথ ঢাকা, কলকাতা, কলম্বো বা সিঙ্গাপুর দিয়ে পণ্য পাঠানো একদিকে যেমন ব্যয়বহুল অন্যদিকে সময় সাপেক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম ক্রেতা। চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারক।
বাংলাদেশ হোম টেক্সটাইল খাতের হারানো ওয়ার্ক অর্ডার ফিরে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ ও রপ্তানির মূল বাজারগুলোয় পোশাক পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে ভালো করেছে। কারণ তথ্যে দেখা গেছে, তাদের রপ্তানির পরিমাণের দিক দিয়ে বেড়েছে।
স্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পশ্চিমা ক্রেতারা এখন কারখানা পরিদর্শন ও উৎপাদনের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে।
ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পোশাক রপ্তানিকারকরা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
গত জুলাই থেকে চলমান সংকটময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিদেশি ক্রেতারা সফর পিছিয়ে দিয়েছেন। অনেকে কারখানা পরিদর্শন বাতিল করেছেন। ফলে আসন্ন মৌসুমে কার্যাদেশ কমেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করতেই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেন দেশের মানুষের কাছে ইলিশ আরও সহজলভ্য হয়।
এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে তা তাদের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, পণ্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার ও সেবার ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে।
এ শিল্পে চলমান অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপের এক পোশাক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
১৯৯৩ সালে এই ব্যাংকের পরিচালক হুমায়ুন জহিরকে তার ধানমন্ডির বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে ব্যাংকটির ওপর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়।