আর্থিক হিসাবের ঘাটতি কমেছে

বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিংখাত, ব্যাংক, আইএমএফ,
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবের ঘাটতি কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক মাস আগের চেয়ে কিছুটা বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে আর্থিক হিসাবের ঘাটতি ছিল ৫ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

মূলত কোনো দেশের বিদেশি লেনদেনর ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টের (বিওপি) একটি প্রধান উপাদান আর্থিক হিসাব।

গত অর্থবছরের আর্থিক হিসাবের পরিস্থিতি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল, তখন আর্থিক হিসাবে ১৪৪ মিলিয়ন ডলারে উদ্বৃত্ত ছিল। কিন্তু, ডলার আসার চেয়ে বহিঃপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে আর্থিক হিসাবের পরিস্থিতি আশানুরূপ ছিল না।

ফলে, এক বছর আগের ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্তের বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবের ঘাটতি ছিল ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে সময়ে ঘাটতি কিছুটা কমার কারণ অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ বেড়েছে।

যেমন- চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে এফডিআই ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক মাস আগের ১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেশি। তবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের ২ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম।

এছাড়া এনআরবি বিনিয়োগ ৪৮ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৫৫ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে যা ছিল ৫৬ মিলিয়ন ডলার।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

5h ago