ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত বিদেশিদের কর ছাড়ের সুবিধা তিন বছর বাড়ল

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত বিদেশিদের কর ছাড়ের সুবিধা আরও তিন বছর বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত বিদেশিদের কর ছাড়ের সুবিধা তিন বছর বাড়ল
ছবি: স্টার

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত বিদেশিদের কর ছাড়ের সুবিধা আরও তিন বছর বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণাধীন ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নিয়োজিত বিদেশিদের ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

চলতি বছরের ৩০ জুন কর অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কর্মরত বিদেশিরা, যেমন প্রকৌশলী ও ব্যবস্থাপকরা তাদের আয়ের ওপর কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত বিদেশিরা ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে আয়ের ওপর কর ছাড় সুবিধা পাচ্ছেন।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের আওতায় ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালে ইতালীয়-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানির সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর এক দশক পর বহুল আলোচিত এই এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়।

এরপর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নকশায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চুক্তিটি সংশোধন করে পুনরায় স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী সরকার ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা (২৭ শতাংশ) দেবে এবং বাকি অংশ বেসরকারি অংশীদার বহন করবে।

এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত) ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা আছে।

Comments