৯ লাখ বাংলাদেশি তরুণের কর্মসংস্থানে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

World Bank logo

অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রায় ৯ লাখ গ্রামীণ তরুণকে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করতে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী।

আজ রোববার ওই চুক্তি স্বাক্ষর হয় বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দ্য ইকোনমিক অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলেন্স ফর এনইইটি (ইএআরএন) প্রকল্পটি সুবিধাবঞ্চিত তরুণদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান অর্জনে সহায়তা করবে। এটি তাদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ, বিকল্প শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে যারা- শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের (এনইইটি) আওতায় নেই।

প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্ন দক্ষতা বিকাশের সুযোগ দিতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং অনলাইন ও অফলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গ্রামীণ তরুণদের বিশেষ করে নারীদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি উদ্যোক্তা কার্যক্রমে প্রতিযোগিতামূলক অর্থায়ন ও মেন্টরশিপ সহায়তাও দেবে।

এই প্রকল্পটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই সেক বলেন, 'তরুণরাই যে কোনো দেশের ভবিষ্যৎ। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রতিযোগিতামূলক কর্মশক্তি তৈরি করা, যেখানে কোনো তরুণ বাদ পড়বে না, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার। প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক জনশক্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।'

বাংলাদেশে প্রায় ২৭ শতাংশ তরুণ, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষকে এনইইটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই নারী, যাদের অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন। তাদের কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেবে।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, 'শিক্ষা বা কর্মসংস্থানে নেই এমন তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে, বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিতদের অর্থনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত করতে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এই প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ও ভিশন ২০৪১-এর জন্য সহায়ক হবে।'

তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রকল্পটি যোগাযোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারণা শুরু করবে। তরুণদের বিশেষ করে নারীদের উদ্বুদ্ধ করতে উপবৃত্তি, পরীক্ষার ফি ও পাঠ্যপুস্তকের ক্ষেত্রেও প্রণোদনা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে আবদুলাই সেক চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে এই ছাড়ের ঋণ দেওয়া হবে এবং ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ এর মেয়াদ ৩০ বছর। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বড় আইডিএ প্রোগ্রাম চলমান আছে, যার মোট পরিমাণ ১৫.৮৬ বিলিয়ন ডলার।

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

58m ago