সরকার ১০ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ৬৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা

‘ফেসবুক পোস্টের’ জেরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

তারল্য সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রাষ্ট্রের অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে না পারায় সরকার অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশাল অঙ্কের ঋণ নিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ মে পর্যন্ত সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৬৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আগের অর্থবছরে সরকার নিয়েছিল ৩১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া মানে বাজারে টাকা ছাড়া, যা মুদ্রাস্ফীতি ও লেনদেন ভারসাম্যের (বিওপি) ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।'

বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাজারে টাকা ছাড়ার ফলে নোটের পরিমাণ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১ টাকা বাজারে ছাড়লে তা ৫ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'ফলে সরকার যে ৬৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, শেষ পর্যন্ত এর পরিমাণ বেড়ে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩০ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে। জনগণের হাতে অতিরিক্ত অর্থ থাকলে পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে, যা দাম বৃদ্ধি করবে।'

মার্চে ভোক্তা মূল্য সূচক ৭ মাসের সর্বোচ্চ বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হওয়ায় এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমে আসে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক কর্মকর্তা মনসুর বলেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজারে ছাড়লে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

'অর্থের প্রচলন বেড়ে গেলে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বেড়ে যায়, যার ফলে আমদানিও বাড়বে', বলেন তিনি।

রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয় কম থাকায় গত কয়েক মাস ধরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

'আমদানি বৃদ্ধির অর্থ হলো রিজার্ভ আরও চাপের সম্মুখীন হবে', বলেন আহসান এইচ মনসুর।

গত বছরের মে মাসে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। তা ২৮ শতাংশ কমে গত সপ্তাহে ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গত ১ জুলাই থেকে ১০ মে পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। ফলে ব্যাংকিং উত্স থেকে সরকারের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭৮ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থবছর-২০২৩ এর জন্য এই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

অর্থবছরের শেষ ২ মাসে ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সরকারকে উন্নয়ন ও রাজস্ব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় বাড়াতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

4 years could be maximum one can go before election: Yunus tells Al Jazeera

Says govt's intention is to hold election as early as possible

1h ago