শাহ আমানত বিমানবন্দরে পাইপলাইনে জেট ফুয়েল সরবরাহ, আগস্টে কমিশনিং

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জহুরুল হক বিমান ঘাঁটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আগামী আগস্ট মাসে এই পাইপলাইনের কমিশনিং হওয়ার কথা রয়েছে।

দেশের জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ডিপো থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড নির্মাণ করছে।

বিপিসি কর্মকর্তারা জানান, ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'জেট এ-১ পাইপলাইন ফ্রম এমআই টু শাহ আমানত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এসএআইএ) চট্টগ্রাম' প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর।

যদিও প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে এই বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার মাস আগে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, ৮ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে ঘণ্টায় ১৪০ কিউবিক মিটার জেট ফুয়েল পরিবহন করা যাবে। ইতোমধ্যেই পাইপলাইনের হাইড্রো টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে।

এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকারী উড়োজাহাজে জেট ফুয়েল নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই এই পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকলেও চার মাস আগেই অর্থাৎ আগামী আগস্টে প্রকল্পের কমিশনিং করা হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার জেট ফুয়েল প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর হজ মৌসুমে এই চাহিদা বেড়ে তিন লাখ লিটারে দাঁড়ায়।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বর্তমানে, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ফুয়েল বাউজার পতেঙ্গা এলাকার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল পরিবহন করে। একবার পাইপলাইন চালু হয়ে গেলে, বিমানবন্দরের দৈনিক জ্বালানির চাহিদা মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ করা যাবে।

পাইপলাইনের মাধ্যমে জেট ফুয়েল পরিবহন শুরু হলে মাত্র দুই ঘণ্টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দেশের সব বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল (জেট ফুয়েল) পদ্মা অয়েল কোম্পানির বিভিন্ন ডিপো থেকে সরবরাহ করা হয়। জ্বালানি পরিবহনের আধুনিকায়ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

8h ago