৫ দফা দাবিতে আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহনের কার্যক্রম বন্ধের ডাক দিয়েছে শ্রমিকরা।
'সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ' ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীতে এক সমাবেশে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
অপর দাবিগুলো হলো-লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা–নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণ, সাঙ্গু নদীর মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।
আমদানি পণ্য নিয়ে আসা বড় জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। এভাবে নদীপথে প্রতি বছর ৬ কোটি টনের বেশি পণ্য পরিবহন হয়।
ধর্মঘট হলে চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে।
শ্রমিকরা জানান, পণ্য খালাসের অপেক্ষমাণ লাইটার জাহাজগুলো আগে রাখা হতো কর্ণফুলী নদীর উজানে। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় গত দেড় বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে সরিয়ে এসব জাহাজ পতেঙ্গা সৈকতের সামনে বহির্নোঙ্গরের কাছে রাখা হতো।
জাহাজ থেকে শ্রমিকদের তীরে আসা–যাওয়ার জন্য গত বছর বন্দর কর্তৃপক্ষ চরপাড়া এলাকায় ঘাট নির্মাণ করে দেয়। পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ এই ঘাট ইজারা দেয়।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চরপাড়া ঘাট ইজারা দেওয়ার পর থেকে ইজারাদারের লোকজনের শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে আসছে।'
তিনি জানান, গত ৩ নভেম্বর ইজারাদারের লোকজন ৮–৯ জন শ্রমিককে মারধর করে। কিন্তু ওই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এছাড়া, বন্দরের কাছে এই ঘাটের ইজারা বাতিলের দাবি জানালেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এর প্রতিবাদে চরপাড়া ঘাটের সামনে থেকে সব লাইটার জাহাজ পারকির চর এলাকায় নিয়ে যায় নৌযান শ্রমিকরা।
পারকির চর এলাকায় অবস্থানরত নৌযান থেকে শ্রমিকরা বিমানবন্দর সড়কের শেষ মাথায় চাইনিজ ঘাট ব্যবহার করে ওঠানামা করতে শুরু করে। এ ঘাটটিও আজ উচ্ছেদ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিকেলে বাংলাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানো ও পরিবহন বন্ধের ডাক দেয় বলে শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন জানান।
Comments