আশুলিয়ায় আজও ২৫ কারখানায় কাজ বন্ধ

আজ বুধবার আশুলিয়ার একটি কারখানার সামনের চিত্র। ছবি: স্টার

টানা শ্রমিক অসন্তোষ কাটিয়ে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বেশিরভাগ পোশাক কারখানা খুললেও এখানকার ২০টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ আছে। এছাড়া সাধারণ ছুটি চলছে আরও পাঁচটি কারখানায়।

সেইসঙ্গে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকরা।

শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা আছে, 'কোন প্রতিষ্ঠানের কোন শাখা বা বিভাগে বে-আইনী ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন, এবং এরূপ বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকগণ কোন মজুরী পাইবেন না।'

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলছেন, 'এর বাইরে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় বিভিন্ন কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে।'

সারোয়ার আলম জানান, বন্ধ কয়েকটি কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কিছুটা শোরগোল করেছেন। তিনি বলেন, 'বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যেন কারখানাগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া হয় সেই চেষ্টা আমরা করছি।'

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, ৭৫ জন শ্রমিককে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে পলাশবাড়ি এলাকার পার্ল গার্মেন্টস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেখানকার শ্রমিকরা।

গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধি, সমানুপাতিকহারে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করে আসছিলেন আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।

পরে নানা উদ্যোগে কারখানা গুলোয় কাজে ফিরতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ১৩ (১) ধারায় বন্ধ ম্যাসকট গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষ ও এক নারী শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Former CEC ATM Shamsul Huda passes away at 83

As CEC, Huda oversaw the ninth parliamentary elections in 2008

41m ago