পরিবেশবান্ধব আরও ২ পোশাক কারখানা পেল লিড স্বীকৃতি

পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের কল্যাণ ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে টেকসই হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) বাংলাদেশের আরও দুই পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানাকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড) স্বীকৃতি দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের ইউনিভার্সাল মেনসওয়্যার ও ঢাকার প্যাসিফিক ব্লু 'জিন্স ওয়্যার' লিমিটেড গোল্ড সনদ পেয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, এই দুই কারখানাসহ দেশে এখন পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা ২০২টি।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৭৩টি প্লাটিনাম, ১১৫টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও চারটি গ্রিন সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা আছে।

২০২২ সালে বাংলাদেশ এক বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক লিড সনদ পাওয়া পোশাক কারখানা পেয়েছে।

সেই বছর ৩০টি কারখানা লিড সনদ পায়। এর মধ্যে ১৫টি প্লাটিনাম ও ১৫টি গোল্ড সনদ।

২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত আরও ২০ কারখানা এই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি সম্মানজনক প্লাটিনাম ও ৭টি গোল্ড রেটিং অর্জন করেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ রেটিং পাওয়া ১৫টি লিড পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে।'

এর মধ্যে একটি কারখানা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ রেট অর্জন করেছে। লিড সনদ পাওয়ার জন্য আরও ৫০০ কারখানা প্রস্তুত আছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের কল্যাণ ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে টেকসই হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কারখানাগুলোর পরিবেশবান্ধব হওয়ার এই উদ্যোগ ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেবল বাংলাদেশের প্রত্যয়কেই তুলে ধরেনি, বরং টেকসই উৎপাদন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় দেশ হওয়ার সম্ভাবনাকেও তুলে ধরেছে।

বিশ্ববাসীর কাছে শিল্পবিষয়ক ধারণায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তিত এসেছে। বাংলাদেশ এখন আর মৌলিক পণ্য প্রস্তুতকারী ও কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকির দেশ হিসেবে পরিচিত নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

8h ago