শিল্পখাত

যুক্তরাষ্ট্রে ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ রপ্তানিকারক প্রথম দেশি প্রতিষ্ঠান এসকেএফ

প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (এসকেএফ)।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ রপ্তানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সকম লিমিটেডের গ্রুপ সিইও এবং এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমান এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (এসকেএফ)।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ উৎপাদনের জন্য এসকেএফের কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পায়। বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এ অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফ।

এ ছাড়া, এসকেএফের ফারাজ আয়াজ হোসেন ভবনের সলিড ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটিও এফডিএ অনুমোদিত।

এসকেএফ স্বীকৃতি পেয়েছে যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জিএমপি, ব্রাজিলের এএনভিআইএসএ, অস্ট্রেলিয়ার টিজিএ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএএইচপিআরএ'র। প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ এসকেএফকে এমন স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।

ট্রান্সকম লিমিটেডের গ্রুপ সিইও এবং এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমান বলেন, 'এসকেএফ আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছুঁয়েছে। বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে ইনজেকশনযোগ্য ওষুধের মাধ্যমে মার্কিন বাজারে আমরা আমাদের সক্ষমতা দেখাতে পারব। এই যাত্রায় আমরা জটিল ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ এবং টেকনোলজি ড্রাইভেন মলিকুলাসের ওপর ফোকাস করছি, যেন রোগীদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'মানুষের সেবায় এসকেএফ সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য বিশ্ব বাজারে এগিয়ে যাওয়া।'

করোনা মহামারির সময় এসকেএফ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ রপ্তানিতে সাফল্য অর্জন করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৩টি অ্যান্টি-কোভিড জেনেরিক ওষুধ— রেমডেসিভির (রেমিভির), মলনুপিরাভির (মনুভির) এবং নির্মাট্রেলভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ (প্যাক্সোভির) উৎপাদন ও বাজারজাত করে।

এসকেএফ এসব জীবনরক্ষাকারী ওষুধ বিশ্বের ৪৮টি দেশে রপ্তানি করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর আমেরিকার ৬৮টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

10h ago