আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে।
ঢাকার বাইরে কিছু এলাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১০০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
চালের দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারদের; আর পাইকাররা দাবি করছেন, মিল পর্যায়ে দাম বেড়েছে।
গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৪৫ টাকায়। তিন দিন আগেও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ডিমের ডজন ছিল ১৯০-২০০ টাকা।
সবশেষ গত ১৮ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছিল।
প্রতিদিন ঢাকার ২০টি এলাকায় এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
দাম বেড়েছে সেটা স্বীকার করছি। তবে দাম বাড়ার কারণও আছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম।
সম্প্রতি খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাশাপাশি টয়লেট্রিজ সামগ্রী ও ঘর পরিষ্কার রাখার উপকরণের দামও বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়েছে।
সরবরাহ বাড়িয়ে চালের দাম কমাতে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সরকার আমদানি শুল্ক কমানো সত্ত্বেও গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় আগামী দু’এক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আগামী ঈদুল আযহার আগে ১ কোটি পরিবারের কাছে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিতে দেশীয় বাজার থেকে মসুর ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার।
সরকার বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে থাকছে, আমদানির ওপর থেকে সব শুল্ক ও কর তুলে নেওয়া এবং বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ৭ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও বেশিরভাগ মানুষের আয় সে অনুযায়ী বাড়েনি। শুধু ভোজ্যতেল ও চালই নয়, প্রতিদিন রান্নাঘরে যেসব উপকরণ প্রয়োজন হয়, তার প্রায় সবকিছুরই দাম বেড়েছে।
বোরো মৌসুমে দামের ঊর্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।