‘স্বচ্ছ সলিলা’ শীতলক্ষ্যায় দূষণের রূপ
কেউ বলেন শীত-গ্রীষ্ম নির্বিশেষে এ পানির নদী শীতল থাকত; তাই এর নাম শীতলক্ষ্যা। এদিকে জনশ্রুতি আছে যে, শীতল পানির পাশাপাশি লক্ষ্মী চরিত্রের কারণেই এর নাম শীতলক্ষ্যা। আবার কারও কাছে এই নদীর আদরের নাম 'স্বচ্ছ সলিলা'।
কথিত আছে, শীতলক্ষ্যার নির্মল ও স্বাদু পানির খ্যাতি একদা ছড়িয়ে পড়েছিল জগৎজুড়ে। জাহাজে জাহাজে যেত 'পিওর শীতলক্ষ্যা ওয়াটার'– এর চালান। একসময় ইংল্যান্ডের কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরির কাজে এই নদীর স্বচ্ছ সুশীতল পানি ব্যবহার করত।
এখন কালের পরিক্রমায় দখল-দূষণে ক্লান্ত শীতলক্ষ্যার আদিরূপের কিছুটা উদ্ভাসিত হয় বর্ষা মৌসুমে। এ সময় পানি দেখে বোঝারই উপায় থাকে না যে, এই নদী প্রতিনিয়ত দূষণের মধ্যে থাকে। তবে শুকনো মৌসুমে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দূষণের রূপও ফুটে ওঠে।
শীতলক্ষ্যার দুই তীরে রয়েছে গার্মেন্ট, ডায়িংসহ অজস্র কলকারখানা। এসব কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানি নেমে আসে শীতলক্ষ্যার বুকে।
বর্ষায় শীতলক্ষ্যার পানি থাকে অনেকটা ঘোলাটে। শুকনো মৌসুমে তা হয়ে যায় কালচে। হয়ে পড়ে দুর্গন্ধযুক্ত। সেই পানিতে ডায়িং ফ্যাক্টরির রাসায়নিক মিশ্রিত রঙিন পানি পড়লে তা আরও কুচকুচে কালো রূপ নেয়।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকা থেকে দূষণকবলিত শীতলক্ষ্যার ছবিটি তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী আনিসুর রহমান।
Comments