বিশ্বজুড়ে কফির দাম বাড়াচ্ছে ‘বৈরী আবহাওয়া’

কফি
ক্রমশ দামি হয়ে উঠছে কফি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আয়েশ করে কফি পানের দিন কি তাহলে ফুরিয়ে আসছে? গত ১৩ বছর ধরে ক্রমাগত কমছে প্রিমিয়াম অ্যারাবিকা বিনের সরবরাহ। ফলে বাড়ছে এই জনপ্রিয় পানীয়ের দাম।

আজ মঙ্গলবার ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল নিউইয়র্কে এক পাউন্ড কফি বিক্রি হয়েছে দুই ডলার ৭১ সেন্টে। ২০১১ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।

গতকাল কম দামের কফি হিসেবে পরিচিত 'রোবুস্তা' এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিক্রি হয়েছে চার দশমিক দুই শতাংশ বেশি দামে।

কফির শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি। তাপপ্রবাহ ও শুষ্কতার কারণে দেশটিতে চলতি মৌসুমের কফি উৎপাদন ও সংগ্রহ আশানুরূপ হয়নি।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কফি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইডিঅ্যান্ডএফ ম্যানের গবেষণা প্রধান কনা হক গণমাধ্যমকে বলেন, 'এসবের মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া।'

নেদারল্যান্ডের বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাবোব্যাংকের বিশ্লেষক কার্লোস মেরা মনে করেন, আগামী মৌসুমে যে অ্যারাবিকার উৎপাদন বাড়বে এমন নিশ্চয়তা নেই।

যেসব দেশে অ্যারাবিকা কফির উৎপাদন বেশি হয় সেসব দেশে গত এপ্রিল থেকে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়াও, কফি সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। কনটেইনার সংকট, বন্দরে পণ্যজট ও গাজা যুদ্ধের কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হওয়ার মতো বিষয়গুলো কফির বাজারকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ফলগার্স ও ক্যাফে বাস্টেলোর মূল প্রতিষ্ঠান জেএম স্মাকার এই গ্রীষ্মে কফির দাম এক ধাপ বাড়িয়েছে। গত আগস্টে তারা ঘোষণা দিয়েছে যে আগামী অক্টোবরে কফির দাম আবারও বাড়ানো হবে।

সুতরাং, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ কথা বলাই যায় যে ক্রমশ দামি হয়ে উঠছে কফি।

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

13h ago