প্রথমবার ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছে রাশিয়ার গ্যাস

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি, বাংলাদেশে ইউরোপের বিনিয়োগ,
রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ১৪তম প্যাকেজের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কূটনীতিকরা বলেছেন, এবারই প্রথম নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছে রাশিয়ার গ্যাস।

আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই প্যাকেজে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলসীমায় রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) পুনঃরপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ এখনো রাশিয়া থেকে ইউক্রেন হয়ে পাইপলাইনে গ্যাস আমদানি করছে।

গ্যাস বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কারণ এশিয়াতে ইইউ বন্দরগুলোর মাধ্যমে গ্যাসের ট্রান্স-শিপমেন্ট রাশিয়ার মোট এলএনজি রপ্তানির মাত্র ১০ শতাংশ।

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, প্যাকেজটিতে রাশিয়ার তিনটি এলএনজি প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে রাশিয়ার সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাতিলের অনুমতি দিতে একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত আছে।

আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত ইইউ সভাপতিত্বের দায়িত্বে থাকা বেলজিয়াম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছে, প্যাকেজটি ফাঁকফোকর বন্ধ করে চলমান নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রভাব আরও বাড়াবে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক্সে বলেছেন, 'এই কঠোর প্যাকেজ মূল প্রযুক্তিতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার আরও সংকুচিত করবে। এতে রাশিয়ার জ্বালানি আয় আরও কমবে। (প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের ছায়া বহর ও বিদেশের ছায়া ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক মোকাবিলা করা যাবে।'

নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ নিয়ে সদস্য দেশগুলো এক মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তি-তর্ক দেখিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কমিশনের একটি প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়। একজন ইইউ কূটনীতিক বলেছেন, জার্মানি এই উদ্যোগটির প্রভাব মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছে ও পদক্ষেপটি পরবর্তী প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ট্যাংকার যুক্ত করেছে এবং উত্তর কোরিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী রাশিয়ার মালিকানাধীন অন্তত দুটি জাহাজ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে মস্কো ও পিয়ংইয়ং আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের পর হামলার মুখে পড়লে তাৎক্ষণিক সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

সামগ্রিকভাবে ৪৭টি নতুন প্রতিষ্ঠান ও ৬৯ ব্যক্তি ইইউ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। ফলে মোট নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ২০০ হলো বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আগামী সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

14h ago