সয়াবিনের বড় রপ্তানি বাজার হবে বাংলাদেশ

সয়াবিনজাত পণ্য, সয়াবিন, অয়েল ওয়ার্ল্ড, ভোজ্যতেল,
স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সয়াবিন পণ্যের প্রধান রপ্তানি বাজারে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন এই শিল্পের এক বিশেষজ্ঞ। কারণ ক্রমবর্ধমান মধ্যম আয়ের জনসংখ্যার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে সয়াবিনের চাহিদা বাড়িছে বলে মনে করেন তিনি।

দেশে মাংস, মাছ এবং ভোজ্যতেলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সয়াবিন কেক ও বীজের মতো অন্যান্য সয়াবিন পণ্যের প্রয়োজন হবে। সয়াবিন কেক একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য উৎস এবং সয়াবিন বীজের উপজাত।

অয়েল ওয়ার্ল্ডের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ডেভিড মিয়েলক বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান অর্থনীতি এবং এর ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে ভোজ্যতেল, মাছ ও মাংসের চাহিদা বাড়ছে। ফলে দেশটিতে সয়াবিন পণ্যের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।

অয়েল ওয়ার্ল্ড বিশ্বব্যাপী বাজার বিশ্লেষণ করে এবং পাম, সয়াবিন, রেপসিড ও সূর্যমুখী তেলের মতো প্রধান পণ্যগুলোর পরিসংখ্যান সরবরাহ করে।

বাংলাদেশ বছরে মাত্র আট লাখ টন সয়াবিন বীজ উৎপাদন করতে পারে। ফলে চাহিদা মেটাতে চার মিলিয়ন টনের বেশি সয়াবিন বীজ আমদানি করতে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন চাষি, ব্যবসায়ী, মিলার, পরিবেশক, রপ্তানিকারক ও ভোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (ইউএসএসইসি) বার্ষিক বৈশ্বিক সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

গত ২০ আগস্ট সানফ্রান্সিসকোর ম্যারিয়ট হোটেলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য অংশগ্রহণকারীদের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা বিষয়ক ধারণা দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, আফ্রিকার মতো উদীয়মান বাজারগুলো সয়াবিন পণ্যের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য হবে। কারণ জনগণের ক্রমবর্ধমান আয় ও পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস সেখানে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়িয়েছে।

এদিকে আয় বৃদ্ধি ও বিশাল জনসংখ্যার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কারণে আগামী দশকে ভারত সয়াবিন পণ্যের বৃহত্তম বাজার হবে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।

অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক, লেখক এবং পররাষ্ট্রনীতি ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা আনজা ম্যানুয়েল সতর্ক করে বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্ব বাণিজ্যকে প্রভাবিত করবে।

ম্যানুয়েল জানান, করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাব ও উচ্চ শিপিং খরচ কীভাবে পণ্যের দামে প্রভাব ফেলেছে।

এই প্রেক্ষাপটে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে তার সদস্যদের বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দিকে আরও মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন।

ইউএসএসইসির দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক কেভিন রোপকে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০২১-২০২২ সালে বাংলাদেশের সয়াবিন আমদানি প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছিল।

তারপর থেকে কিছুটা পতন দেখা গেছে। বর্তমানে আমদানি দুই টন থেকে আড়াই মিলিয়ন টনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এছাড়া প্রতি বছর আরও মিলিয়ন টন সয়াবিন খাবার আমদানি করা হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সয়াবিন ও সয়াবিনজাত খাবারের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

From gravel beds to tourists’ treasure

A couple of decades ago, Panchagarh, the northernmost district of Bangladesh, was primarily known for its abundance of gravel beds. With thousands of acres of land devoted to digging for the resource, the backbone of the region’s rural economy was based on those natural resources.

13h ago