মেলার মূল আকর্ষণ বৈদ্যুতিক ও দেশে সংযোজিত গাড়ি
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত ১৭তম ঢাকা মোটর শোর মূল আকর্ষণ ছিল স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা গাড়ি ও মার্সিডিজ-বেঞ্জের বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি)।
গত ২৩ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল সেমস-গ্লোবাল।
শো-তে র্যানকন মোটরস মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ড প্রোটনের এক্স৭০ মডেলের গাড়ি প্রদর্শন করা হয়, যা র্যানকনের হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে সংযোজন করা হয়েছে। অন্যদিকে মেঘনা অটোমোবাইলস লিমিটেড (এমএএল) দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ড কিয়া ১ হাজার ৫০০ সিসি সেলটোস ও ১ হাজার ৬০০ সিসি সেরাটার দুটি গাড়ি প্রদর্শন করেছে।
র্যানকন কার লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং ইয়াসির কাদের আবেদীন জানান, মোটর শোর প্রথম দিনেই স্থানীয়ভাবে তৈরি পাঁচ আসনের এই গাড়ি বাংলাদেশে চালু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কমপ্যাক্ট স্পোর্টস ইউটিলিটি যানটি ৩৬ লাখ টাকার বিশেষ মূল্যে প্রি-বুকিং করা যাবে এবং এতে পাঁচ বছর বা দেড় লাখ কিলোমিটারের ওয়ারেন্টিসহ ছয়বার বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারগুলোর আসল খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে।
এদিকে, আমদানি করতে যে ব্যয় হবে তার চেয়ে কম দামে ব্র্যান্ড-নিউ গাড়ি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়েছিল মেঘনা অটোমোবাইলস লিমিটেড।
মেঘনা অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মৃদুল হাসান হৃদয় বলেন, স্থানীয়ভাবে সংযোজন শুরুর পর সেলটস ও সেরাটা উভয়ের দাম ৫০ লাখ টাকা থেকে কমে ৪৩ লাখ টাকায় নেমে আসে।
তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা গাড়ি বিক্রি শুরু করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কিয়ার জনপ্রিয় স্পোর্টেজ মডেলটি সংযোজন করতে পারে মেঘনা অটোমোবাইলস লিমিটেড। এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে।
'আমাদের লক্ষ্য প্রদর্শনীতে গাড়ি বিক্রি করা নয়, স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা গাড়ি প্রদর্শন করা,' যোগ করেন তিনি।
র্যানকন মার্সিডিজ বেঞ্জের ইকিউ সিরিজের চারটি বৈদ্যুতিক গাড়িও প্রদর্শন করেছে, যার দাম ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
চীনের হাভাল, জাপানের মিতসুবিশি এবং যুক্তরাজ্যের এমজি তাদের সর্বশেষ মডেল হাজির করে।
র্যানকন মোটরসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ফারহানা ইয়াসমিন এমজি স্টলের দায়িত্বে ছিলেন এবং জানান, তাদের তিনটি মডেলের ডিসপ্লে আছে- এমজি এইচএস, এমজি জেডএসটি এবং এমজি ফাইভ।
তিনি জানান, তারা ৪৬ লাখ টাকায় এমজি এইচএস এবং ৩৬ লাখ টাকায় এমজি জেডএসটি দিচ্ছেন। টার্বো ফিটেড এমজি ফাইভ ৩৮ লাখ টাকা এবং নন-টার্বো ভ্যারিয়েন্টের দাম ৩৪ লাখ টাকা।
ফারহানা ইয়াসমিন আরও জানান, মেলার প্রথম দিনে তিনটি ইউনিট বুকিং হয়েছে।
এছাড়া অস্টম ঢাকা বাইক শো, সপ্তম ঢাকা অটোপার্টস শো, ষষ্ঠ ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো এবং প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি বাংলাদেশ এক্সপো একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম বলেন, ঢাকা মোটর শো এবং সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনীগুলো মোটর গাড়ি এবং অটো শিল্প ব্যবসায়ের ওয়ান স্টপ প্ল্যাটফর্ম।
তার মতে, প্রদর্শনীটি সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াবে।
মেলায় জাপান, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৭টি দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং ১৭৫টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
Comments