মার্কিন ভিসা নীতিতে বস্ত্র ও পাটপণ্য রপ্তানিতে সমস্যা হবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ছবি: স্টার

মার্কিন ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় দেশে বস্ত্র ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

তিনি বলেন, 'এসব পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হয় বেসরকারি পর্যায়ে এবং এটা ব্যবসায়িক ব্যাপার, এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা থাকে না।'

আজ রোববার সকালে ফরিদপুরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে 'বহুমুখী পাট ও পাটজাত পণ্যমেলা' উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ডলারের সংকটে আমরা কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। আমাদের হাতে টাকা আছে, টাকা কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে ডলারের কারণে।

আগে থেকে এ ব্যাপারে আমরা প্রস্তুতি কেন নিইনি-জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন, 'তখন তারা বাকিতে কয়লা দিয়েছে, আমরা নিয়েছি। তবে যখন টাকা পরিশোধ করার সময় এসেছে তখন ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।'

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি পণ্য ছিল পাট।  আজ প্লাস্টিকের কারণে আমরা আমাদের ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশে বিশেষত ফরিদপুরে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের পাট উৎপাদন হয় কিন্তু বিশ্ববাজারে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। বিভিন্ন দেশের মেলায় গিয়ে দেখেছি যেখানে ভারতের ১০০টি পাটজাত পণ্যের স্টল রয়েছে সেখানে আমাদের ১০টি স্টলও নেই। এ ব্যবধান ১৫ কিংবা ১০ এর মধ্যে হওয়া উচিত ছিল।

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য নিয়ে বিশ্ববাজারে আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।

পাটপণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে দেশের চার কোটি লোক জড়িত। পাটপণ্যের সমাদর বাড়লে কৃষক দাম পাবে উপকৃত হবে মানুষ।

তিনি বলেন, চাল পাটের বস্তায় বাজারজাত করার জন্য আইন করা হয়েছে যাতে কেউ প্লাস্টিকের মোড়কে চাল বিক্রি করতে না পারে। এ আইন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তিনি পাট অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ফরিদপুরে পাটের আধুনিক পণ্যের উৎপাদনে একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি পাট পচানোর জন্য হাজা মাজা পুকুরগুলো খনন করা হবে। তিনি ওই পুকুরে মাছ চাষে ইজারা না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

Comments

The Daily Star  | English

US urges China to keep Iran from shutting key trade route

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

1d ago