৮ দফা দাবিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি, সারা দেশে পণ্য খালাস বন্ধ

chittagong port
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। স্টার ফাইল ছবি

৮ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সারা দেশের সব শুল্ক স্টেশন ও বিমানবন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবারও কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।

তাদের এই দাবিগুলোর মধ্যে আছে- লাইসেন্স বিধিমালা এবং এইচএস কোড ও সিপিসি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের সংশোধন, আমদানিকারকের দায় বা ভুলের মাশুল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ওপর না চাপানো, ইত্যাদি।

কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, কমলাপুর আইসিডি, টেকনাফ স্থলবন্দরসহ দেশের ২৭টি শুল্ক স্টেশনে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন আমদানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।

তবে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস এবং অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।

কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এসব দাবি নিয়ে আগেও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে কাস্টমসের রাজস্ব আহরণের বিষয়ে সুরক্ষা নিশ্চিতকরন এবং অবৈধ পণ্য আমদানি বন্ধ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেশকিছু আইনের সংশোধন করে। সিএঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এসব দাবি মেনে নিলে রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হবে বলে মনে করেন তারা।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজি ইমাম হোসেন বিলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা অতীতেও এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান না পেয়ে এ ধরনের কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'কর্মবিরতির অংশ হিসেবে দেশের সকল সমুদ্র বন্দর, নৌবন্দর, স্থলবন্দর ও  বিমানবন্দরসহ সারা দেশের সকল আমদানি-রপ্তানি, পণ্য খালাস ও জাহাজীকরণ বন্ধ থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Reform commission reports' submission

We never got a chance to reform our state and politics like now. Let’s not waste it

Our initial study of the reports of the four commissions indicates that the recommendations are quite substantive.

10h ago