২০২২: সংগ্রাম, সহনশীলতা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বছর

একটি ঝামেলাপূর্ণ বছরের শেষে ২০২২ সালের নতুন সূর্যকে স্বাগত জানানোর সময় বাংলাদেশ বেশ দৃঢ় অবস্থানে ছিল। দেশের অর্থনীতি করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাবকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।

একটি ঝামেলাপূর্ণ বছরের শেষে ২০২২ সালের নতুন সূর্যকে স্বাগত জানানোর সময় বাংলাদেশ বেশ দৃঢ় অবস্থানে ছিল। দেশের অর্থনীতি করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাবকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।

এই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। এই সংঘাতের প্রভাব এতটাই সুদূরপ্রসারী যে বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ঝামেলাপূর্ণ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বাধ্য হয়।

এই সংকটকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় বলেও অভিহিত করা যায়।

বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমদানির বাড়তে থাকে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তে থাকে চাপ। ডলারের বিনিময় মূল্য ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১১০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ডলার স্বল্পতার সংকট আরও ঘনীভূত হয়।

আগস্টে গত ১ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির দেখা দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ।

এ বছর দেশের ১০০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এলেও গ্যাস স্বল্পতার কারণে বছরজুড়ে জ্বালানি সংকট দেখা গেছে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হওয়ার আশংকায় রাজনৈতিক অঙ্গনও উত্তপ্ত হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ভালো দিক হলো—বাংলাদেশকে শ্রীলংকার মতো ভাগ্য বরণ করতে হয়নি। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি গভীর সংকটে পড়ে।

সার্বিকভাবে, বেশ কয়েকটি কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে ছিল। এর মধ্যে আছে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকা, নজিরবিহীনভাবে ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়তে থাকা, পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব, কর বনাম মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাত কমতে থাকা, নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম ও অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা।

যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটে পশ্চিমের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির নতুন রেকর্ড দেখা দেয়। সঙ্গে আসে জ্বালানি সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পতা। গ্যাস ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের শিল্প খাতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এসব সত্ত্বেও, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থেকেছে।

আমদানির বিল বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রত্যাশার চেয়ে কম রেমিট্যান্স আসা ও মাঝারি পর্যায়ের রপ্তানি আয়ের কারণে এ বছর রিজার্ভের পরিমাণ এক চতুর্থাংশ কমে যায়।

সংক্ষেপিত: পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে 2022: a year of revival, struggle and resilience

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

 

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

4h ago