ভারতের রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব দেশের চালের বাজারে না পড়ার সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, চাল রপ্তানিতে ভারতের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে দাম প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তারা বলেছে, শুল্ক আরোপ করা হয়েছে শুধুমাত্র আতপ চালের ওপর। বাংলাদেশে এই চালের চাহিদা খুব বেশি না।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মূলত প্রতিবেশী দেশটি থেকে সিদ্ধ চাল আমদানি করে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে গতকাল চিকন চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬২ থেকে ৭০ টাকা, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় যা ৫ শতাংশ কম। সবচেয়ে কম দামে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৭ থেকে ৫২ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় যা ৮ শতাংশ কম।

আমদানি উৎসাহিত করতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গত ২৮ আগস্ট সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ করার পর দাম কমতে শুরু করে।

কিন্তু ভারত গত বৃহস্পতিবার তার অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে চালের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে।

ভারত থেকে চাল আমদানিকারক মজুমদার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিত্ত মজুমদার বলেন, 'ব্যবসায়ীরা মূলত সিদ্ধ চাল আমদানি করেন। এই চাল রপ্তানিতে ভারত শুল্ক আরোপ করেনি। তাই বাংলাদেশের বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।'

একই অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী।

তবে চাল ও ধানের পাইকারি বিক্রেতাদের সংগঠন নওগাঁ ধান ও চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা বলেন, 'সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার থেকে সীমান্ত বাণিজ্য আবার শুরু হবে। ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে কি না তা দেখার জন্য আমাদেরকে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যেসব জাতের চাল আমদানি করে, তার ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি কর আরোপ করলে আমদানি আর লাভজনক হবে না।'

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী বাংলাদেশ এর আগে ভারত থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানির জন্য বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে।

এ ছাড়া, সরকার থেকে সরকার (জি২জি) পদ্ধতিতেও গম ও চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে সরকার। পাশাপাশি ২ লাখ টন চাল আমদানির জন্য মিয়ানমারের সঙ্গেও একটি চুক্তি সই করার কথা রয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল কেনার জন্য একটি চুক্তি সই হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago