পলি আর্থ্রাইটিস
একটু জোরে হাঁটলেই পায়ে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে গেলে মনে হয় শরীরের বেশ শক্তি ব্যয় করতে হয়। এমন সমস্যায় পড়তে হয় অনেকেরই। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কম বয়সী বা বয়স্ক যে কারো হতে পারে। এ রকম ব্যথা হলে দুয়েকটা পেইনকিলার খেয়ে অবহেলা করলে সমস্যা বাড়ে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানো জরুরি।
আর্থ্রাইটিস মূলত দু’রকমের, ইনফ্ল্যামেটরি ও ডিজেনারেটিভ আর্থ্রাইটিস। হাঁটু, কোমর, ঘাড়ের জয়েন্টে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যাটিকেই ডিজেনারেটিভ আর্থ্রাইটিস বলে। একাধিক জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের স্বাভাবিক ক্ষয়ের ফলে এটি হয়। আর ইনফ্ল্যামেটরি আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত জয়েন্ট ফুলে যায়। ভাইরাস ইনফেকশনের ফলে বা অটোইমিউনের কারণে, সংক্রমণের ফলে ওই ধরনের আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকার ফলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হতে পারে। এটিও কিন্তু একধরনের পলি আর্থ্রাইটিস। অনেকের আবার জ্বর, গলায় ঠা-া লাগার ফলে রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস হতে পারে। এটিও এক ধরনের পলি আর্থ্রাইটিস। শরীরের অন্য কোনো অংশে কোনো অসুখ, যেমন ডায়রিয়া, ইউরিন ইনফেকশন বা স্কিনে সোরিয়াসিসের প্রক্রিয়াতে আর্থ্রাইটিস হলে রি-অ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস বলে। পলি আর্থ্রাইটিসে একাধিক জয়েন্ট একসঙ্গে আক্রান্ত হয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিসে একাধিক জয়েন্ট আক্রান্ত হলে এটিও একধরনের পলি আর্থ্রাইটিস। কেউ একাধিক জয়েন্টে ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তার মেডিক্যাল হিস্ট্রি পরীক্ষা করা হয়। দেখে নিতে হবে কোন ধরনের আর্থ্রাইটিস। ফ্যাক্ট টেস্ট, ইউরিক অ্যাসিড টেস্ট ইত্যাদি। এক্স-রেও করতে হতে পারে। পলি আর্থ্রাইটিস যদি হাড়ের ক্ষয়ের কারণে হয়, তাহলে ব্যথা কমানোর ওষুধ, ফিজিওথেরাপি ও সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়। আর ইনফ্ল্যামেটরি আর্থ্রাইটিসের জন্য চিকিৎসা আলাদা। কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই স্টেরয়েডের ব্যবহার করবেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
Comments