অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নিতে আগ্রহী

ড. ইউনূস ও টনি বার্কের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
ড. ইউনূস ও টনি বার্কের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র, সাইবার নিরাপত্তা, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী টনি বার্ক এখন বাংলাদেশে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সরকারের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে বাংলাদেশ সফরে এলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক।

দেশটি ব্যবসা, বাণিজ্য, দুর্যোগ ও সংকটে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে সব সময়।

১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। 

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক উইলিয়াম ওডারল্যান্ড একমাত্র বিদেশি নাগরিক যিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য অন্যতম সর্বোচ্চ পুরস্কার বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।

টনি বার্ক সিডনির ওয়াটসন নির্বাচনী এলাকা থেকে বারবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটি একটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা। নিউ সাউথ ওয়েলসের এই এলাকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সঙ্গত কারণেই এই এলাকার যে কোন প্রার্থীর জয়-পরাজয়ে বাংলাদেশিদের সমর্থন প্রভাব ফেলে। টনি বার্ক বাংলাদেশবান্ধব একজন রাজনৈতিক।

বাংলাদেশিদের ছোট অনুষ্ঠানেও তাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি উপস্থিত হন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, গত জুলাই মাসে যখন বাংলাদেশে গণহত্যা চলছিল তখন তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিছিল সমাবেশ খুব কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর প্রবাসীদের বিজয় উদযাপন করতেও দেখেছেন।

বার্ক বাংলাদেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসনের বিষয়টি উত্থাপন করে বলেছেন, তার সরকার এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়। অধ্যাপক ইউনূস অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীকে অভিবাসীদের নিয়মিত করা এবং বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অভিবাসন বাড়াতে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, দেশ পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জগুলো অনেক বড়। কারণ, স্বৈরাচারী শাসন সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। প্রত্যাশা মোকাবেলা করা সবচেয়ে কঠিন কাজ । কিন্তু মানুষ ধৈর্যশীল। আমাদের আবার কাঠামো তৈরি করতে হবে।

ড. ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশের শহর ও শহরের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল নিয়ে সংকলিত একটি বই মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

টনি বার্ক সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকও  যোগদান করেন।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বৈঠকে আমরা রোহিঙ্গাদের অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছি।

তারা আগেও দুই হাজার রোহিঙ্গা নিয়েছে, আরও নেবে। এ ব্যাপারে তারা ইতিবাচক সম্মতি জানিয়েছে। 

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

3h ago