মালয়েশিয়ার ক্যাম্পে আটকদের দেশে ফেরাতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ফ্রি টিকিট

হাইকমিশনের মিনিস্টার (লেবার) নাজমুছ সাদাত সেলিমের হাতে ৩টি টিকিট তুলে দেন বঙ্গন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি দাতু আব্দুল রউফ লিটন। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া ক্যাম্পে আটক প্রবাসীদের দেশে ফেরাতে বিমানের ফ্রি টিকিট দিয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া শাখা।

সোমবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাদের পক্ষে প্রবাসীদের প্রত্যাবর্তনে হাইকমিশনের মিনিস্টার (লেবার) মো. নাজমুছ সাদাত সেলিমের হাতে তিনটি ফ্রি টিকিট তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি দাতু আব্দুল রউফ লিটন। সেই সময় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুক, সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন ও মো. খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌসসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি দাতু আব্দুল রউফ লিটন বলেন, হাইকমিশনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

সোমবার ফ্রি টিকিট দেওয়ার পর দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেতারা। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনের  মিনিস্টার (শ্রম) নাজমুস সাদাত সেলিম, কাউন্সিলর কনস্যুলার মো. রাসেল রানা, প্রথম সচিব (প্রেস উইং) সুফী আব্দুল্লাহিল মারুফসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

মালয়েশিয়ায় চাকরি নিয়ে যাওয়ার পর যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে সাজা ভোগ করার পরেও বিমানের টিকিট কিনতে না পারায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি ও ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন, তাদের নিজ দেশে ফিরতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

অভিবাসীদের বৈধ পারমিট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে দেশটির আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে প্রথমে ১৫ দিনের জন্য রিমান্ডে রাখা হয় বালাই পুলিশের থানাতে। ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ঘোষণা করে জেলখানায় পাঠিয়ে দেন। জেলের সাজা উত্তীর্ণ হলে পাঠিয়ে দেওয়া বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে মালয়েশিয়ার সরকার বা জেল কর্তৃপক্ষ কোনো টিকিটের ব্যয়ভার বহন করে না। তখন বছরের পর বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।

ক্যাম্পের বন্দিরা আত্মীয়-স্বজন বা বাইরের কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। তারা শুধু সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারে। তখন কোনো বিত্তবান বা কমিউনিটির লোকজন টিকিট কিনে দূতাবাসের মাধ্যমে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলে তখন ওই বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে কর্তৃপক্ষ। তবে মালয়েশিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পের ভেতরের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা দেশটির আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

Comments

The Daily Star  | English

100 days of govt: Businesses seek high security, low interest

Weak law and order, high interest rates on bank loans, and slow bureaucracy remain big concerns for entrepreneurs despite many steps taken by the government in its first 100 days, business leaders said yesterday.

9h ago