দেশের পথে কনটেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া সেই কিশোর

এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজের একটি খালি কনটেইনার থেকে কিশোর ফাহিমকে (ইনসেটে) উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিম এখন দেশের পথে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের পথে রওনা হন ফাহিম।

বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল কুয়াললামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিশোর ফাহিমকে বিদায় জানান। এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

কিশোর ফাহিমের সঙ্গে হাইকমিশনের একজন কল্যাণ সহকারী রয়েছেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর তিনি ফাহিমকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেবেন।

গত ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মার্শাল আইল্যান্ড কোম্পানির পতাকাবাহী একটি মার্কেন্টাইল জাহাজ 'এমভি ইন্টিগ্রা' গত ১৭ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ক্লাং সমুদ্র বন্দরে পৌঁছায়। ওই দিন রাতে জাহাজ থেকে কন্টেইনার খালাসের সময় একটি কনটেইনারের ভেতরে রাতুল ইসলাম ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানিয়েছেন, ফাহিম নামের ওই বাংলাদেশি কিশোর মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়েছিল বলে তারা মনে করছেন না। তাকে সেইফহোমে রাখা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোর ফাহিমের খবর ব্যাপক প্রচার হলে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্লাং সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কিশোর ফাহিমের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পন্ন করে একটি এনজিও এর তত্ত্বাবধানে তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখে।

কিশোর ফাহিমকে দ্রুত দেশে পাঠানোর লক্ষ্যে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশে তার পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, সে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মো. ওমর ফারুকের ছেলে। পেশায় দিনমজুর ফারুকের ৩ ছেলের মধ্যে ফাহিম সবার বড়।

কয়েক মাস আগে সে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থেকে হারিয়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের 'এমভি ইন্টিগ্রা' জাহাজের কনটেইনারে ঢুকে পড়ে।

লেখক : মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments