‘বঙ্গবন্ধুর অবদানে বাংলাদেশিরা সগৌরবে প্রবাসে অবস্থান করছে’
মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন জেল-নির্যাতন ভোগ করে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন। সেই দেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশিরা প্রবাসে সগৌরবে অবস্থান করছেন।
সোমবার ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জন্মভূমির প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য যেন ভুলে না যাই, সে জন্যই বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম বারবার স্মরণ করতে হবে, আমাদের দীক্ষা নবায়ন করতে হবে।
এ ছাড়া তিনি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে 'রূপকল্প-২০৪১' বাস্তবায়নে প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমতো অবদান রাখার আহ্বান জানান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি বক্তারা স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন।
দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ ইসমাঈল হুসাইনের তত্ত্বাবধানে এবং মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয় এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
পরে ১৫ আগস্টের কালরাতে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত কবিতা ও গান পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পীরা।
শেষ পর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালে 'ওআইসি ইয়থ ক্যাপিটাল, ঢাকা' শীর্ষক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মিশরীয় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
মিশরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আফছার হোসাইন: মিশরপ্রবাসী বাংলাদেশি লেখক, সাংবাদিক
Comments