গ্রিসে ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু
ইউরোপের দেশ গ্রিসের অনিয়মিত ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে নিয়মিত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিজনাল ভিসায় তাদেরকে ৫ বছরের জন্য বৈধতা দেওয়া হবে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এমন সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাসিত দেশটিতে থাকা অনিয়মিত বাংলাদেশিরা।
গত বুধবার থেকে বাংলাদেশিদের আবেদনের জন্য দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয় একটি অনলাইন প্লাটফর্ম উন্মুক্ত করেছে। এরপর থেকেই অনলাইন প্লাটফর্মটিতে আবেদন করতে শুরু করেছেন অনিয়মিত বাংলাদেশিরা।
এরই মধ্যে আবেদন গ্রহণের নিশ্চিতকরণ সনদ পেয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশি।
বাংলাদেশের সঙ্গে সই হওয়া সমঝোতা চুক্তির আওতায় গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রণালয় অনিয়মিত বাংলাদেশিদের নিয়মিত করার এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
নিয়ম অনুসারে, প্রথম ধাপে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তি পর দ্বিতীয় ধাপে গ্রিসের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বৈধতার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন আগ্রহী অনিয়মিত বাংলাদেশিরা।
এরই মধ্যে যারা দূতাবাসে নিবন্ধনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছেন তারা এখন আবেদন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস শ্রম উইং সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি অনিয়মিত বাংলাদেশি বৈধতার জন্য দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সকল তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার আবেদনকারীর তালিকা অভিবাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের তথ্য যাচাই-বাছাই ও তালিকাভুক্তি চলমান রয়েছে।
নিয়মিত হতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, কৃষি কাজ, মিনি মার্কেট, গার্মেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ নিয়োগপত্র নিয়ে আবেদন করতে হবে অনিয়মিত বাংলাদেশিদের।
এ জন্য ২ বছরের বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট এবং ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে আসার প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
এ ছাড়া, আবেদনের সঙ্গে নিজ নামে নিবন্ধিত সিম নম্বর ও একটি ইমেইল এড্রেসও দিতে হবে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন গ্রহণের ১৮০ দিনের মধ্যে আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য ডাকা হবে। এরপরই তাদেরকে রেসিডেন্ট কার্ড বা ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে।
প্রকাশিত গেজেটের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধ হয়ে মৌসুমি (সিজনাল) শ্রমিক হিসেবে বছরের ৯ মাস গ্রিসে কাজ করবেন। পরের ৩ মাস বাংলাদেশে থাকতে হবে।
দূতাবাসের মিনিস্টার মো. খালেদ জানান, বৈধতা কার্যক্রম শুরুর হওয়ার পর থেকে নিবন্ধনের হার অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই রাজধানী এথেন্সে অবস্থিত দূতাবাসে ভিড় করছেন অনেক অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসী।
লেখক: গ্রিসপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments