ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোজাম্বিকের জঙ্গলে বাংলাদেশির মৃত্যু

ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোজাম্বিকের জঙ্গলে বাংলাদেশির মৃত্যু
প্রবাসী বাংলাদেশি হৃদয় চন্দ্র দাসের পাসপোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের রুট হিসেবে পরিচিত মোজাম্বিক জঙ্গল। সেখানে অবস্থান করার সময় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

মোজাম্বিকের বাংলাদেশি কমিউনিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে মোজাম্বিকের মুয়াতিজ এলাকায় বাংলাদেশি হৃদয় চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়।

জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধভাবে ঢুকতে মোজাম্বিকের সড়ক পথ ব্যবহার ইদানিং বেড়েছে। একারণে দেশটির সীমান্ত পুলিশ লাগোয়া জেলায় টহল বাড়িয়েছে এবং বিদেশিদের সন্দেহজনক আনাগোনা দেখলে ধাওয়া করছে।

পুলিশের নজর এড়াতে মানবপাচারকারীরা লোকজনকে কনটেইনারসহ গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় জঙ্গলে থেকে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে ও সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।

প্রবাসীদের মতে, গতকয়েক বছরে প্রায় ৩০ জন বাংলাদেশি মোজাম্বিকের জঙ্গলে মারা গেছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, অপমৃত্যু ঘটনার দায়ীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এ কারণে প্রতারণার শিকার হয়ে মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। দালালদের শাস্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না বলেই একই ঘটনা বারবার ঘটছে।

বাংলাদেশি কমিউনিটি অব মোজাম্বিকের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে মোজাম্বিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের দালালরা জঙ্গল ও পাহাড়ে ছেড়ে দেওয়ার কারণে ম্যালেরিয়াসহ সাপের কামড়ে বাংলাদেশিদের মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়াও দেশটির পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে।

কারা এসব ঘটনার পেছনে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার। এ ধরেন ঘটনা ধারাবাহিক ঘটার কারণে মোজাম্বিকে বাংলাদেশিরা প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, তিনি যোগ করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আওতাধীন মোজাম্বিক।

দূতাবাস সূত্র জানায়, ঘটনার বিষয়ে দূতাবাস খোঁজখবর নিচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

লেখক: দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

11m ago