আমিরাতে ১০৫ কোটি টাকার লটারিতে রায়ফেলের সঙ্গে ভাগ্য খুলল আরও ১৮ বাংলাদেশির
আমিরাতে শতকোটির টাকার লটারিতে মুহাম্মদ রায়ফেলের সঙ্গে ভাগ্য খুলেছে আরও ১৮ প্রবাসী বাংলাদেশির।
গত ১০ ডিসেম্বর ১৮ বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় প্রবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিকেট কিনেছিলেন রায়ফেল।
আল আইনে বসবাসরত নোয়াখালী জেলার রায়পুরের মুহাম্মদ রায়ফেল বলেন, 'আমরা ২০ জন মিলে বিগ টিকেট কিনি৷ ২০ জনের মধ্যে কেউ ২০০ দিরহাম, ১২৫ দিরহাম, ৫০ দিরহাম আবার কেউ ২৫ দিরহাম করেও দিয়েছেন৷ এ মাসে আমরা ৩ হাজার দিরহামের টিকেট কিনেছি৷ প্রতিটি টিকেটের মূল্য ৫০০ দিরহাম।'
বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকায় (৫০০ দিহরাম) কেনা ওই টিকিটে লটারি জিতে এখন কোটির টাকার মালিক রায়ফেলসহ ২০ প্রবাসী কর্মী। মুহাম্মদ রায়ফেলের নামে কেনা ওই টিকেট আবুধাবির 'দ্য বিগ টিকিট র্যাফেল ড্র'তে ৩৫ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০৫ কোটি টাকা।
'আমি তখন গাড়ি চালাচ্ছিলাম। আমাকে তারা ফোন করেছিল কিন্তু ধরতে পারিনি। পরে ২০ জনের একজন লাইভ শো-তে দেখে আমাকে খবরটি জানায়। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'লটারির মালিক হিসেবে বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষ থেকে ৩৫ মিলিয়ন দিরহাম (১০৫ কোটি টাকা) বুঝে পাওয়ার পর তা ২০ জনের বিনিয়োগ অনুপাতে ভাগ করে নেওয়া হবে।'
রায়ফেল পেশায় একজন পিকআপ ও পারিবারিক ট্যাক্সি ড্রাইভার। মাসে ২ থেকে ৩ হাজার দিরহাম আয় করেন তিনি। বাকিরাও তার মতো কম আয়ের সাধারণ প্রবাসী কর্মী। দৈনিক মজুরি শ্রমিক, ড্রাইভার, পেইন্টার, হেল্পারের কাজে যুক্ত রয়েছেন তারা।
১৯ প্রবাসী বাংলাদেশিদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়৷
'আমরা সবাই গরীব পরিবার থেকে এসেছি। আমরা সবাই এখানে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছি। আমাদের অধিকাংশই ১ হাজার থেকে ৩ হাজারের মধ্যে আয় করে থাকি,' বলেন তিনি।
লটারি জেতার পরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রায়ফেল বলেন, 'এটি নিয়ে এখনো ভাবিনি। আমাদের জীবন স্থির হয়ে গেছে তবে আমরা স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবো। আগামী দিনে টাকা দিয়ে কী করা যায় সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজনে দেশবাসীকে সাহায্য করতে হবে।'
প্রায় তিন দশক আগে ১৯৯২ সালে আবুধাবি এয়ারপোর্ট ও শহরের প্রমোশনের জন্য বিগ টিকেট লটারি চালু করা হয়। প্রতিমাসে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
বিগ টিকেট লটারির প্রথম স্থানের পুরস্কার মূল্য প্রতিমাসে পরিবর্তন হয়। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে জানুয়ারি মাসে ছিল প্রথম পুরষ্কার, ৩৫ মিলিয়ন দিরহাম (প্রায় ১০৫ কোটি টাকা)।
লেখক: আমিরাতপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments