ইন্দোনেশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ান তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
ইন্দোনেশিয়ার বালির হোটেল থেকে অস্ট্রেলিয়ান তরুণী নিয়াম ফিনেরান লোডারের (২৫) মরদেহ উদ্ধারের ২ সপ্তাহ পরও মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হয়নি।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ তার মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে। গত ২ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হলেও হোটেল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় ৭ ডিসেম্বর।
এনগোয়েরাহ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. ইদা বাগুস পুতা আলিত বলেন, 'লোডারের মরদেহের রেকর্ড অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর মরদেহটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আমরা জানি না এর আগে মরদেহ কোথায় ছিল এবং কনে মৃত্যুর ৫ দিন পর আমাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।'
ইন্দোনেশিয়ার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডা. নোলা মার্গারেট গুনাওয়ান বলেন, 'সেই ৫ দিনে কী ঘটেছিল আমরা এখনো জানি না। এটি এখনো অনিশ্চিত, বিষয়টি নিয়ে আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত আছে।'
জানা যায়, বালির কুটা পুলিশের নির্দেশে মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে ১৩ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত হয়।
ফিনেরান লোডার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি মান্দুরাহ সুইমিং ক্লাবের প্রাক্তন অধিনায়ক। ইকোনমিক এডুকেশন ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের আওতায় আগামী জানুয়ারিতে লোডারের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল।
কুটা পুলিশের প্রধান অর্পা টাকালপেটা বলেন, 'তার মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন।'
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, 'লোডারের পরিবারকে ইন্দোনেশিয়া গেছেন। তাদের বালিতে কনস্যুলার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।'
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments