বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের
ওমানের উত্তর আল বাতিনাহ প্রদেশের রাজধানী ও বন্দরশহর সোহারে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো এবং এ লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত শুক্রবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব। সহযোগিতায় ছিল গালফ ওভারসিজ এক্সচেঞ্জ।
সেমিনারে বক্তারা, বৈধ পথে টাকা পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা, গুরুত্ব এবং অবৈধ পথের অপকারিতা ও ক্ষতি তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) রোশন আরা পলি। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাবের পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে সাম্প্রতিক বিশ্ব বাস্তবতায় রেমিট্যান্সের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কাজেই এ সময়ে বৈধ চ্যানলে টাকা পাঠিয়ে প্রবাসীরা দেশের জন্য অবদান রাখতে পারেন।
প্রবাসী সংগঠকেরা, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটানোর সহজ উপায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের পরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ছে না রেমিট্যান্স। এ অবস্থায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ করতে হবে।
একই সঙ্গে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী করতে প্রক্রিয়া সহজে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন এবং প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা।
প্রবাসী সংগঠকরা, ওমানে হুন্ডি-বিকাশ ব্যবসায় জড়িত বাংলাদেশিদের দেশের জন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড বন্ধে হুঁশিয়ারিও দেন।
বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মো. মোস্তফা কামাল পাশা এবং গালফ ওভারসিস এক্সচেঞ্জের সিইও ইফতেখারুল হাসান চৌধুরী।
মোহাম্মদ নোমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সহ-সভাপতি আজিমুল হক বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, ডা. সাদী, ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব, মো. মিজান, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সেলিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য ওমানে বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায় বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। ওমান থেকে বৈধপথে বছরে গড়ে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে।
প্রতিবেদক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
Comments