অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের কঠোর প্রতিক্রিয়া

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রত্যাহারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটিতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তিরস্কার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ঘোষণা করেছেন, অস্ট্রেলিয়া আর পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।

এই ঘোষণার পরই ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাক পড়ে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের।

পশ্চিম জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কট্টরপন্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিয়েছিলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক পরিচালক আলিজা বিন-নাউন গতকাল অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত পল গ্রিফিথসের সঙ্গে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় আলোচনা করেন।

আলিজা বিন-নাউন অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, এই উদ্যোগ পশ্চিম তীরে চরমপন্থি সহিংসতা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মধ্যে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।

অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে 'দুঃখজনক সিদ্ধান্ত' হিসেবে চিহ্নিত করছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার আলবেনিজ সরকারের নীতি পরিবর্তন একটি জঘন্য সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সুসম্পর্কের বিরুদ্ধে।

তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন, অস্ট্রেলিয়ান সরকার বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে ও পেশাদারভাবে পরিচালনা করবে।

এক সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা 'ওয়ালা নিউজ'কে বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তে ইসরায়েল কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কেননা, তারা আশঙ্কা করছে যে অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী উদ্যোগ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে।'

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন বেশিরভাগ দেশ জেরুজালেমের পরিবর্তে তেলআবিবে তাদের দূতাবাস স্থাপন করেছে। একটি আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে যে, পবিত্র শহরটির চূড়ান্ত মর্যাদা শান্তি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।

দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদও অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় কট্টরপন্থী লিবারেল সরকারকে পরাজিত করে উদারপন্থী লেবার পার্টি সরকার গঠন করেছে। তারা বিগত সরকারের পররাষ্ট্রনীতিসহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

Sources from the CA office confirmed that the meeting will take place at the State Guest House, Jamuna

15m ago