‘যুদ্ধের পর’ গাজা শাসন করবে হামাস-ফাতাহ, দাবি আরব গণমাধ্যমের
তের মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেখানে প্রশাসনিক দায়িত্ব ভাগ করে নেবে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফাতাহ ও এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস। এ বিষয়ে ঐক্যমত্যের চুক্তি হাতে পাওয়ার দাবি করেছে এক আরব সংবাদমাধ্যম।
আজ মঙ্গলবার লন্ডনভিত্তিক কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদিদের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
চুক্তির নথি
আজ আল-আরাবি আল-জাদিদ এ সংক্রান্ত এক নথি প্রকাশ করেছে। এতে কমিটি গঠনের প্রাথমিক চুক্তি দেখানো হয়েছে। এই কমিটিই যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকার দায়িত্ব নেবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নথিটিতে কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, কমিটি 'গাজা উপত্যকার প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে। তারা ফিলিস্তিনি সরকারের কাঠামো অনুসরণ করবে এবং (গাজা সংক্রান্ত) সব বিষয়ের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।'
কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করার পাশাপাশি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি সরকারের সঙ্গে গাজার যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করে তোলা।
এই নথিতে বলা হয়েছে, এই কমিটি পশ্চিম তীরের 'ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যবস্থা' অনুসরণ করবে।
কায়রোয় চুক্তি
সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে কায়রোয় হামাস ও ফাতাহর কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনায় চুক্তির বিষয়গুলো সম্পর্কে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের মত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছে ফাতাহ ও হামাস।
একইসঙ্গে এটাও দাবি করা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকেও সব সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তাদের মতামত জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির চাপ অব্যাহত
সম্প্রতি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে উভয় পক্ষের কয়েক দফা হামলা-পাল্টা হামলা চললেও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মোটা দাগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
এ সময়ের পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ আসছে।
গতকাল সৌদি আরব সফরে গেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তারা শিগগির গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা কমাতে যা প্রয়োজন, তা করার অঙ্গীকারের কথা জানান মাখোঁ।
Comments