পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এখনও শুরু হয়নি সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শেষ হলেও, লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ না করায় তা চালু করা যায়নি। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল হোসেন আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লিকুইড অক্সিজেন কাঠামো নির্মাণের কাজ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। তবে, লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় এটি চালু করা যাচ্ছে না।
রুহুল হোসেন জানান, হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে মিড-ফোল্ডের মাধ্যমে হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।
তবে, তা পর্যাপ্ত নয় বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিন হাসপাতালে ১০০টি ছোট সিলিন্ডার ও ২৪-৩৬টি বড় সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ সংকট হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রুহুল হোসেন।
এ বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে যেন অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি না থাকে, এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা গেলে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
এদিকে, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৯ দিনে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৫০ শয্যা বাড়িয়ে ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অতিরিক্ত ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে গত বুধবার থেকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে।
রুহুল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রতিদিন বাড়ছে নতুন নতুন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১১৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন। মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজন রোগীর। এ নিয়ে এ মাসের ১৯ দিনেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই সন্দেহভাজন করোনা রোগী।’
Comments