নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: এত মরদেহের জায়গা হচ্ছে না ঢামেক মর্গে
মরদেহ রাখার জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালের মর্গে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ এনে সারি সারি করে রাখা হচ্ছে সেখানে। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনের মরদেহ এনে রাখা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ রাখার জন্য মাত্র ছয়টি ফ্রিজারের ব্যবস্থা আছে।
হাসপাতালে মরদেহ রাখার জন্য মোট ২০টি ফ্রিজার থাকলেও সেগুলোর মধ্যে ১০টিতে ইতোমধ্যে মরদেহ রাখা হয়েছে, চারটি নষ্ট। এতগুলো মরদেহ কোথায় রাখা হবে জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ ৪৮ জনের মরদেহ ডিএমসি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আরও একজনের মরদেহ সেখানে পাঠানো হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে মরদেহগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পরিচয় শনাক্তের জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হবে।’
শামীম ব্যাপারী আরও বলেন, ‘নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মৃতদেহ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও আহদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’
ডিএমসি মর্গের সহকারী সিকান্দার আলী ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মার্গে মাত্র ২০ জনের লাশ রাখার ব্যবস্থা আছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এতগুলো মরদেহ কোথায় রাখা হবে জানেন না।
দ্য ডেইলি স্টার সংবাদদাতা হাসপাতাল ঘুরে এসে জানান, ডিএমসি মর্গে রাখা মরদেহগুলো থেকে ইতোমধ্যে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জে কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এক শোক বার্তায় তিনি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
Comments