কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘ দেখলেই বলে ঝড় এসেই গেল: বাণিজ্যমন্ত্রী

tipu_munshi.jpg
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ফাইল ফটো

হঠাৎ করে আটা-ময়দার দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত অন্য দেশে গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে এমন কথা ছড়িয়ে পড়ায় বাজারে দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘ দেখলেই বলে ঝড় এসেই গেল।

আজ বুধবার দুপুরে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন ধরে একটি কথা বাতাসে বাতাসে উড়ছে ভারত অন্য দেশে গম রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। আমাদের আমদানিকৃত গমের প্রায় ৬৪ শতাংশ ভারত থেকে আসে। যে কারণে এ কথা শোনার পরে বাজারে দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কথাটা একেবারে ঠিক না আমাদের জন্য। ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে অন্যান্য দেশে কিন্তু জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) বন্ধ করা হয়নি, যত খুশি আনা যাবে। এমনকি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যারা ভারত থেকে আমদানি করে তারা চাইলে চিঠি দিয়ে পারমিশন করে নিতে হবে। সেই পারমিশনের শতভাগ আমদানিতে কোনো বাধা নেই। যার জন্য ভারত থেকে যে নিষেধাজ্ঞা তা কোনোভাবেই আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘ দেখলেই বলে ঝড় এসেই গেল। তাছাড়া আমাদের দেশে এই মুহূর্তে যে পরিমাণ মজুত আছে আমরা তাতে কোনো ভয়ের আশঙ্কা করি না।

ভোজ্য তেল প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লেখা আছেই সয়াবিন, পাম ওয়েল খেলে শরীরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যখন ক্রাইসিস হয় তখন ব্যবহারেও সাশ্রয়ী হওয়া দরকার। গ্লোবাল এই ক্রাইসিস আমাদের মিলিতভাবে ফেস করতে হবে। আমরা ক্যানোলার কথা বলেছি, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এটা কানাডা থেকে আসে। দাম একটু বেশি পড়বে হয়তো আমরা সেটাও লক্ষ রাখছি। প্রকৃত দাম বের করার চেষ্টা করছি, যদি ডিউটি স্ট্রাকচারে কিছু করা যায়। তাতে বিকল্প একটা সোর্স হলো এবং শরীরের জন্য উপকারী একটা তেল পাওয়া গেল।

এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করছি। রাইস ব্র্যান, সরিষার তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি, পাম ওয়েল।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে একটা বিশাল পরিমাণ জমি ইন-বিটিউন পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আমরা সরিষা করতে পারি। সেখান থেকে সরিষার তেল আসতে পারে। এখন এই ক্রাইসিসটা আমাদের কষ্ট দিচ্ছে কিন্তু নতুন নতুন পথ খোঁজার ভীষণ রকম চেষ্টা করছি আমরা। নেগেটিভটার মধ্যেও একটা পজিটিভ দিক আছে। ভোজ্য তেলের এখন যে অবস্থা আছে, আমরা আশা করছি ক্রাইসিস হবে না।

পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন একটা পয়েন্টে যেতে হবে যেন কৃষকরা ন্যায্য দাম পায়। ভোক্তারা যেন তার ওপর ভিত্তি করে সাশ্রয়ী দামে পায়। পেঁয়াজ কিন্তু পচে যায়, ওজন কমে যায়। সেসব যোগ করে তারা যদি ৩৫ টাকায় বিক্রি করে তাহলে ৪৫ টাকায় ভোক্তারা নিতে পারে। আমরা দেখছি, এখনো কিন্তু এমন কিছু ব্যাপার হয়নি যে পেঁয়াজ নিয়ে খুব চিন্তা করার ব্যাপার আছে। আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় নতুন জাত উৎপাদনের চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব আশাবাদী ২০২৫ সাল নাগাদ আমাদের বোধ হয় আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। পেঁয়াজ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

Comments

The Daily Star  | English

CA accords reception to SAFF winning women's team, asks for written demands

During a reception ceremony at the State Guest House Jamuna in the morning today, Chief Adviser Professor Muhammad Yunus asked the players of the Bangladesh team that won the 2024 SAFF Women’s Championship in Nepal last week to submit a list of their demands in writing, assuring them of working on those in the coming days.

1h ago