বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী ‘মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ উৎসব
বান্দরবানে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী 'মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ' উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সাধারণত উৎসবটি ৪ দিনব্যাপী উদযাপন করা হয়। এবার তা সংক্ষিপ্ত করে ২ দিনে উদযাপন করা হয়েছে।
এই উৎসব গত বুধবার শুরু হলেও বান্দরবানের মারমারা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে 'মাহা মঙ্গল রথ যাত্রা' ও শত শত ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে উৎসবে মেতে উঠেন।
'মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ' বা শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত ৩ মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজ বিহারে বর্ষাবাস পালন করেন।
দীর্ঘ ৩ মাস বর্ষাবাস শেষে এই দিনে ভিক্ষুরা তাদের নিজ নিজ দোষত্রুটি অন্য ভিক্ষুদের কাছে প্রকাশ করেন এবং একে অপরকে ক্ষমার আহবান জানান।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, এ পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে গৌতম বুদ্ধ মানব জাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণে স্বধর্ম প্রচারের জন্য ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন।
এই দিনে বুদ্ধপূজা, সংঘদান, পিণ্ডদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, শীল গ্রহণ, প্রদীপ পূজা ও ফানুস ওড়ানোসহ নানান অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।
প্রবারণা পূর্ণিমার পরের দিন থেকেই বৌদ্ধ বিহারে পালিত হয় 'কঠিন চীবরদান' উৎসব। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব উপভোগ করতে দেশের নানান প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বান্দরবানে আসেন।
'মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ' উৎসব উদযাপনে বান্দরবানে বেশ কয়েকটি সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।
মারমা বর্ষপঞ্জি 'সাক্রয়' অনুযায়ী বান্দরবানে দীর্ঘ যুগ ধরে 'মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ' উদযাপিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন।
Comments