মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বললেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রয়টার্স ফাইল ফটো

রাশিয়ার সামরিক উদ্যোগে ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

বাইডেন বলেন, মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করলে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে তিনি সেনা পাঠাবেন না। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে 'পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে পারে'।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা সত্ত্বেও ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।

কিন্তু, তারা ইতোমধ্যে প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমুদ্রে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন।

ক্রেমলিন বলছে, সাবেক সোভিয়েত প্রতিবেশী ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তারা 'রেড লাইন' প্রয়োগ করতে চায়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের মুখে পড়েছে ইউরোপ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।

এনবিসি নিউজকে বাইডেন বলেন, মার্কিন নাগরিকদের এখনই ইউক্রেন ত্যাগ করা উচিত। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর মধ্যে একটিকে মোকাবিলার কাজ করছি। তাই সেখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন এবং খুব দ্রুত ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতে পারে।

এদিকে, বিশ্ব নেতারা ইউক্রেনের বর্তমান সংকট নিরসনে তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করেছে, পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী দ্বন্দ্ব অবসানে ফরাসি ও জার্মান কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের একদিনের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করার আট বছর পর বর্তমান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরপর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীরা রাশিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago