কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন চুক্তি

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর আজ শুক্রবা ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ২২ জুলাই, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া ও ইউক্রেন শস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো পুনরায় চালু করতে একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির ফলে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট খাদ্য সংকট কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার ওই চুক্তি স্বাক্ষর হয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুই মাসের আলোচনার পর চুক্তির আয়োজন করা হয়। তুরস্ক ন্যাটোর একটি সদস্য এবং তাদের সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশের সুসম্পর্ক আছে। এছাড়া তুরস্ক কৃষ্ণ সাগরের দিকে যাওয়া প্রণালীগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।

ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ওডেসা, চেরনোমোর্স্ক ও ইজুনি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাণিজ্যিক খাদ্য রপ্তানির পথ উন্মুক্ত হলো।

রয়টার্স বলছে, তবে রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা একই টেবিলে বসতে অস্বীকৃতি জানায় এবং অনুষ্ঠানে হাত মেলানো থেকে বিরত থাকে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনারা কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো অবরোধ করে রেখেছে। ফলে, লাখ লাখ টন শস্য ও  অনেক জাহাজকে আটকা পড়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা আরও কঠিন হয়ে ওঠে এবং রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে।

তবে, মস্কো বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকটের দায় অস্বীকার করেছে। তারা নিজস্ব খাদ্য ও সার রপ্তানি কমে যাওয়ার জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার স্বাক্ষরিত একটি পৃথক চুক্তি রাশিয়ার রপ্তানির পথকে সহজ করবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, এই চুক্তির ফলে ইউক্রেন যাতে রাশিয়ার আরও আক্রমণের ঝুঁকিতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমা দেশগুলো ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখবে।

Comments

The Daily Star  | English

We must restore democracy at any cost: Tarique

'Awami League strangled multiparty democracy and replaced it with one-party government system,' said the BNP acting chairman

1h ago